ফাইল ছবি
নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বাদল অধিবেশেনর পরেই কি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল ঘটতে চলেছে! এই নিয়ে রাজধানীর রাজনৈতিক অলিন্দে জল্পনা এখন তুঙ্গে। সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশ এসেছে বাকি পড়ে থাকা সমস্ত প্রকল্পের ফাইলপত্রের কাজ দ্রুত শেষ করে ফেলতে হবে। কাগজ-কলমের কাজ আটকে রাখা যাবে না। যে সমস্ত প্রকল্পের কাজ সময়সীমা পার করে গেলেও শেষ হয়নি সেগুলিকেও দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করে ফেলতে হবে। রদবদলের ক্ষেত্রে শরিকদের সদস্যদের জায়গা দেওয়া থেকে শুরু করে বিহার নির্বাচনের সমীকরণ মাথায় রাখার সম্ভাবনাও রয়েছে।
পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েকজন সদস্যর হাতে একাধিক দপ্তর রয়েছে, তাদের ভার কমানোর কথাও ভাবছেন মোদি-শাহ। একাধিক দপ্তর থাকার কারণে অনেকেই আশানুরূপ কাজ করতে পারছেন না বলেই শোনা গিয়েছে। এই তালিকায় সর্বাগ্রে রয়েছে রেল-সহ তথ্য ও সম্প্রচার দপ্তরের মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের নামও। বিজেপি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-র অত্যন্ত পছন্দের লোক হওয়া সত্ত্বেও বৈষ্ণব সরকারের প্রত্যাশাপূরণ করতে পারছেন না বলেই জল্পনা। আবার শরিক দলের মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার দল জেডিএস-এর মন্ত্রী তথা তাঁর পুত্র কুমারস্বামীকেও ইস্পাত দপ্তর থেকে সরানোর বিষয়টি পাকা হয়ে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এমন আরও একাধিক পদে রদবদলের সম্ভাবনার খবর শোনা যাচ্ছে।
রবিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু-র সঙ্গে সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সাক্ষাৎ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকে বিদেশ সফর থেকে ফেরার পরে প্রোটোকল বলে ধরে নেওয়া হলেও রাতে শাহ-র সাক্ষাৎকে ঘিরে রহস্যের জাল ঘনিয়েছে। ইতিমধ্যেই সংঘ পরিবারের পক্ষ থেকে ৭৫ বছরের পরে অবসরের কথা বলে প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.