হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: মালেগাঁও বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে ফুঁসে উঠলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হাত শিবিরকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে জঙ্গিদের বাঁচিয়ে নিরীহদের হিন্দুদের ফাঁসিয়েছে কংগ্রেস।” পাশাপাশি, সমাজবাদী পার্টিকেও এক হাত নিয়েছেন যোগী।
যোগী বলেন, “আজ কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির মতো দলগুলি দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। মালেগাঁও বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে কংগ্রেস কি কখনও দেশের কাছে তাদের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চাইবে? কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরেই জাতপাত, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং মাফিয়াদের তোষণকে করে চলছে।” তাঁর অভিযোগ, মালেগাঁও বিস্ফোরণকাণ্ডে কংগ্রেস জঙ্গিদের বাঁচিয়ে নিরীহদের হিন্দুদের ফাঁসিয়েছে। যোগীর বক্তব্য, “গোটা ঘটনার জন্য কংগ্রেসের উচিত প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া।”
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার মালেগাঁও শহরে ভয়ংকর বিস্ফোরণে হয়। ৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলেন একশোর বেশি। তদন্তে উঠে আসে, মালেগাঁও শহরে মসজিদ লাগোয়া কবরস্থানে একটি মোটরবাইক দু’টি বোমা রাখা ছিল। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখার (এটিএস) প্রাথমিকভাবে জানায়, বিস্ফোরণের নেপথ্যে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। যে মোটরবাইকে বোমা রাখা ছিল সেটা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের নামে নথিভুক্ত ছিল। এরপরই একে একে গ্রেপ্তার হন প্রজ্ঞা, কর্নেল প্রসাদ-সহ অন্য অভিযুক্তরা।
প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিন পান প্রজ্ঞা এবং কর্নেল। ২০১১ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র কাছে যায়। এরপর তদন্তের অভিমুখ খানিক বদলে যায়। একাধিক চার্জশিট ও অতিরিক্ত চার্জশিটের পর ২০১৮ সালে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। বিচার চলার সময়ে আদালত ৩২৩ জন সাক্ষীর বয়ান খতিয়ে দেখা হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সম্প্রতি অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে এনআইএ বিশেষ আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.