সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে জগদীপ ধনকড়ের ইস্তফা নিয়ে জল্পনার রেশ এখনও কাটেনি। এরইমাঝে তাঁকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। জানালেন, ‘উনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে থাকাকালীন বিরোধীদের কথা বলতে দিতেন না। কিন্তু নিজে যখন মুখ খুলতে শুরু করলেন, সরকারের সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে সংঘাত তৈরি হল তখন তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।’
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি রিপোর্ট অনুযায়ী, খাড়গে জানিয়েছেন বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে নিয়ে বিরোধীদের পেশ করা প্রস্তাবে সরকার মনমতো কাজ না করার জন্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান ধনকড়কে সরানো হয়েছে। খাড়গের কথায়, “ওনাকে সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল ওনাকে এই প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে হবে অন্যথায় ইস্তফা দিতে হবে। যার জেরেই উনি ইস্তফা দিয়ে দেন।” এর পরই সংসদের অতীতের স্মৃতি উসকে খাড়গে বলেন, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি সংসদে আমাদের কথা বলতে দিতেন না। কথায় কথায় সাসপেন্ড করতেন। আমাদের একজন মহিলা সাংসদকে ৭ মাসের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছিল।”
ধনকড় প্রসঙ্গে খাড়গে আরও বলেন, “একটা সময় সরকারের সমালোচনার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়াতেন চেয়ারম্যান ধনকড়। সম্প্রতি তিনি প্রকাশ্যে মুখ খোলা শুরু করেছিলেন। বিচারপতি বর্মার মামলায় উনি দেশের আইনি ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেছিলেন। এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতিকে নিয়ে আসা প্রস্তাব নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এর জেরেই তাঁকে মোদি সরকারের তরফে হুমকি দেওয়া হয়, এবং ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়।”
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই হঠাৎ গোটা দেশকে অবাক করে উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনকড়। এই ইস্তফার কারণ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা বলেন তিনি। তবে একদিন আগেও যিনি সংসদে বহাল তবিয়তে কাজ করেছেন। অতীতে অসুস্থ হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে যিনি সংসদের কাজে যোগ দিয়েছেন তাঁর এমন ইস্তফা স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা বাড়ায়। কংগ্রেস মহাসচিব জয়রাম রমেশের সন্দেহ মোদি সরকারের চাপের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন ধনকড়। তাঁর কথায়, সামনে যেটুকু দেখা যাচ্ছে, পর্দার আড়ালে তার চেয়ে অনেক বড় কিছু ঘটে গিয়েছে। সেই জল্পনার মাঝেই এবার মুখ খুললেন খাড়গে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.