সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিকে টক্কর দিতে হলে গুজরাট থেকে আগে উৎখাত করতে হবে। মাস কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্যে গিয়ে দলীয় কর্মীদের আত্মসমালোচনার ডাক দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ‘রেসের ঘোড়া’ আর ‘বিয়েবাড়িতে নাচার ঘোড়া’র মধ্যে ফারাক বুঝিয়েছিলেন। এবার খানিক সেই সুরেই কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের মুখেও আত্মসমালোচনার সুর শোনা গেল। কংগ্রেস সভাপতি গুজরাটে গিয়েই বললেন, দলটা পচা আমে ভোরে গিয়েছে। গোটা বস্তা পচে যাওয়ার আগেই ছুড়ে ফেলতে হবে পচা আমগুলিকে।
গুজরাটে দু’বছর বাদে বিধানসভা ভোট। এখন থেকেই সে রাজ্যকে পাখির চোখ করেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর হস্তক্ষেপের পর গুজরাটে কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে কারা কতটা সক্রিয়, কারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, কারা সমঝোতা করে নিয়েছে, দলের অন্দরে থেকে দলের ক্ষতি করছে কারা, এসব নিয়ে সমীক্ষা শুরু করেছে কংগ্রেস। সেই সমীক্ষায় প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে ৪১টি জেলা কমিটির মধ্যে ১৯টিতেই দলের ইউনিটের কাজ সন্তোষজনক নয়। সেই রিপোর্ট হাতে পেয়েই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন কংগ্রেস সভাপতি।
খাড়গে স্পষ্ট বলে দেন, যারা অকেজো, আদর্শের সঙ্গে আপস করে ফেলেছেন, তাঁদের ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। এবং যত দ্রুত সম্ভব ফেলে দিতে হবে। কংগ্রেস সভাপতির কথায়, “কয়েকটা পচা আম গোটা বস্তাকে পচিয়ে ফেলতে পারে। তাই গোটা বাক্সটা পচে যাওয়ার আগে পচা আমগুলিকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে।” খাড়গের সাফ কথা, “যে সব নেতা পরিবর্তিত সময়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না, তাঁদের বিদায় দিতেই হবে।”
সাম্প্রতিক কালে একাধিক নির্বাচনে দেখা গিয়েছে, হারের পর কংগ্রেস নেতারা কখনও ভোটারদের দোষ দিচ্ছেন, কখনও ভোটার তালিকার দোষ দিচ্ছেন, কখনও ইভিএমের দোষ দিচ্ছেন। সেই তালিকায় খোদ রাহুল গান্ধীও আছেন। খাড়গে এদিন বলে গেলেন, এভাবে খালি ভোটারদের দোষ দিলে হবে না। আত্মসমালোচনা করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.