সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফ্ল্যাটে লিভ ইন পার্টনারকে খুন! দেহ চাদরে মুড়িয়ে দু’দিন রাত্রিবাস। মদের নেশায় কাছের বন্ধুর কাছে খুনের কথা স্বীকার। তাঁর থেকে খবর পেয়ে যুবতীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের রাজধানী শহর ভোপালের। শহরের গায়েত্রীনগরের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন নিহত যুবতী রিতিকা সেন ও তার লিভ ইন পার্টনার শচিন রাজপুত। অভিযোগ, প্রেমিকার অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে সন্দেহ করত শচিন। তা থেকেই ২৭ জুন রাতে রিতিকার সঙ্গে ঝামেলা বাধে শচিনের। বচসা চলাকালীন প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, শচিন জেরায় প্রেমিকা খুনের কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, শচীন আগে থেকে বিবাহিত। তার দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু আগের স্ত্রীকে ছেড়ে একটি বেসরকারি ফার্মে কর্মরত রিতিকার সঙ্গে লিভইনে থাকছিল। শচিন কোনও কাজ করে না বলেই জানা গিয়েছে। রিতিকার টাকাতেই চলত। এই নিয়ে তাদের মধ্যে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া হত। এই সময়ে শচিন সন্দেহ করতে থাকে নিজের বসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন রিতিকা। অনুমান, তার জেরেই প্রেমিকা খুন করেছে সে। জেরায় শচিন নিজেই এই কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। কী করে খুনের কথা জানতে পাারল পুলিশ?
খুনের পর মদের নেশায় নিজের কাছের এক বন্ধুকে বিষয়টি জানায় শচিন। প্রথমে ওই বন্ধু বিষয়টিকে পাত্তাই দেয়নি। শচিন মজা করছে ভেবে এড়িয়ে যায়। এরপর ফের ওই বন্ধুকে ফোন করে খুনের কথা বলে। এবার আর ব্যাপারটি ফেলে দেয়নি সেই বন্ধু। খবর দেন পুলিশকে।
পুলিশ গায়েত্রীনগরের ওই ফ্ল্যাটে যেতেই রিতিকার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় শচীনকে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। সেই রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.