প্রণব সরকার আগরতলা: লাভ জেহাদ না ত্রিকোণ প্রেম? নৃশংসভাবে খুন ত্রিপুরার এক সংখ্যালঘু যুবক। খুনের পর তিনদিন মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে দেওয়া হল। হত্যাকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ এক চিকিৎসক।
গত রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন আগরতলার ইন্দ্রনগরের যুবক শরিফুল। অভিযোগ, ইন্দ্রনগরের বাড়ি থেকে শরিফুলকে গিফট দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত ডা. দিবাকর সাহা। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন শরিফুল। পরিবারের তরফে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ সোমবার দিবাকরকে আটক করে। কয়েক দফা টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে বুধবার ওই চিকিৎসক খুনের কথা স্বীকার করে খুনের কথা।
পুলিশ সুপার কে কিরণ কুমার জানিয়েছেন দিবাকরের কাকার মেয়ের সঙ্গে শরিফুলের আট মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু শরিফুল ইসলাম ধর্মাবলম্বী হওয়ায় মেয়েটির পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে ও প্রেমে ইতি টানতেই শরিফুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু পরে আরও একটি তত্ত্ব প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই তুতো বোনের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন দিবাকর নিজেও। কিন্তু বোনের সঙ্গে সম্পর্কে বাধা হতে পারে তাঁর প্রেমিক। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে দিবাকর জানিয়েছে, সে শরিফুলকে খুন করে পলিথিনে মুড়ে একটি সুটকেসে ভরে নারায়ণপুরের তাদের দোকানে নিয়ে আসে এবং সেখানে একটি ডিপ ফ্রিজে দেহটি রেখে দেয়। দিবাকরের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানের ডিপ ফ্রিজ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় দিবাকর ছাড়াও তার মা ও বাবাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.