Advertisement
Advertisement
E commerce

ই-কমার্সের ব্যবসায়ও চিনকে কোণঠাসা করতে মরিয়া ভারত, আসছে নয়া নিয়মাবলি

বিধিনিষেধের খসড়া তৈরি করছে বাণিজ্য মন্ত্রক।

Many e commerce sites Tough Government E-Commerce Rules: Report
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 6, 2020 12:47 pm
  • Updated:July 6, 2020 2:06 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেন্ডার বাতিল, অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পর, এবার কি ই-কমার্স (E-commerce) ব্যবসায়ও চিনকে কোণঠাসা করার পরিকল্পনা করছে ভারত? কেন্দ্র সরকারের তৈরি করা নয়া ই-কমার্স (E commerce) বিধিতে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। নয়া বিধিতে ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজেদের তথ্য সরকারকে দিতে হবে। তেমনই আবার কোন পণ্য কোথা থাকে আসছে, কোন দেশে তৈরি হচ্ছে সেই বিবরণও গ্রাহকদের জানাতে হবে। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিনা (China) সংস্থাগুলি।

Advertisement

বছর দুয়েক ধরেই ই-কমার্স (E commerce) সংস্থাগুলিকে নির্দিষ্ট নিয়মে বাঁধতে বিধিনিষেধের খসড়া তৈরি করছিল বাণিজ্য মন্ত্রক। ভারত-চিন উত্তেজনার আবহে সেই নিয়মাবিধির খসড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে খবর। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ১৫ পাতার সেই খসড়াতে একাধিক নিয়ম বদল করা হয়েছে। মূলত দুটি উদ্দেশে এই নিয়ম বদল করা হয়েছে। কী কী লক্ষ্য?

ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, আমাজন, গুগুল আলফাবেট ইনকের মত টেক জায়েন্টরা ই-কমার্সের দুনিয়ায় ছড়ি ঘোরায়। যেখানে ঠাঁই পায় না ছোট, স্থানীয় সংস্থাগুলি। এবার আত্মনির্ভর ভারত গড়তে ই-কমার্সের দুনিয়ায় গণতন্ত্র আনতে চাইছে সরকার। অন্যদিকে ঘুরিয়ে চিনা পণ্য বয়কটও করার উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন : উত্তেজনা কমার ইঙ্গিত! গালওয়ানে সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু থেকে সেনা সরাচ্ছে দুই দেশই]

১৫ পাতার খসড়াতে কী বলা হয়েছে? ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে চোখে চোখে রাখতে একটি রেগুলেটরি কমিটি তৈরি হতে পারে। যাদের কাছে ওই সংস্থাগুলির সমস্ত তথ্য থাকবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সংস্থাগুলির দেশীয় নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও কর সংক্রান্ত সংস্ত তথ্য পেশ করতে হবে। ওই কমিটি নজর রাখবে যাতে ই কমার্সের দুনিয়ায় একাধিপত্য তৈরি না হয়। আবার ই -কমার্স সংস্থাগুলির খরিদ্দারদের পণ্য উৎপাদক বা বিক্রেতার ফোন নম্বর. ঠিকানা, অভিযোগ জানানোর নম্বর জানাতে হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ক্ষেত্রে সেই দেশের নাম, ভারতে কতটা কাজ হয়েছে. তারও বিশদ বিবরণ দিতে হবে। আর ঠিক এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে চিনা ব্যবসায়ীরা। এমনকী বেশকিছু ক্ষেত্রের স্থানীয়করণ  করার নিয়মও রয়েছে সেই খসড়ায়।

১৫ জুন গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই দেশজুড়ে চিনা পণ্য বয়কটের আবহ তৈরি হয়েছে। ই-কমার্সের পণ্যে দেশের নাম উল্লেখ থাকলে, অনেকেই চিনের পণ্য কিনতে চাইবেন না। সেক্ষেত্রে বেজিংয়ের অর্থনীতি ব্যাপক ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন : লকডাউনে কোম্পানির টাকায় ‘ফূর্তি’, শাস্তি হিসেবে কর্মীর যৌনাঙ্গে স্যানিটাইজার স্প্রে মালিকের]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement