সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘লাল সন্ত্রাস’ দমনে ফের সাফল্য। ছত্তিশগড়ের সুকমায় মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল এক মাও নেতার। অভিযান চলাকালীন আহত হয়েছেন তিন জওয়ানও।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুকমা-দান্তেওয়ারা সীমানার কাছে জঙ্গলে যৌথ অভিযান চালায় ছত্তিশগড় পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ), ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং সিআরপিএফের জওয়ানরা। খবর ছিল, ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন মাওবাদী নেতা। সেইমতো এলাকা ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি। পিছু হঠার জায়গা না পেয়ে রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। দীর্ঘক্ষণ দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলার পর অবেশেষে মৃত্যু এক মাও নেতার। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গলে আইইডি বিস্ফোরকের ফাঁদ পেতে রেখেছিল। অভিযান চলাকালীন সেখানে পা দিতেই আহত হন তিন জওয়ান। বস্তার রেঞ্জের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেন, “মৃত মাও নেতার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। অভিযানে তিন জন জওয়ান আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে।”
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝড়খণ্ডের মতো মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, বর্তমানে ছত্তিশগড় তেলেঙ্গানা সীমানাবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। ২১ এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছে অভিযান। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৩১ জনের বেশি মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা সীমানা ঘেঁষা পাহাড় ও জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ১০০০ মাওবাদীকে ধরতে নামানো হয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি যৌথ বাহিনীকে। অভিযানে ইতিমধ্যেই খতম করা হয়েছে মাওবাদীদের সাধারণ সম্পাদক বাসবরাজুকে, যার মাথার দাম ছিল ১.৫ কোটি টাকা। নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুধাকরেরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.