বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: মেয়েদের বিয়ের (Marriage) বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার লক্ষ্যে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর বসানোর পর শীতকালীন অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত বিলটি পাশ করিয়ে নেওয়ারও ইচ্ছা ছিল কেন্দ্রের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিলটি নিয়ে ‘ধীরে চলো’র রাস্তাতেই হাঁল তারা। ‘প্রহিবিশন অফ চাইল্ড ম্যারেজ (সংশোধনী) বিল, ২০২১’ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) লোকসভায় বিলটি পেশ করেন। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যেই এই বিল আনা হয়েছে বলে যুক্তিও দেন তিনি। কিন্তু বিলটি পেশের সময়ই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীরাও সরব হয়। কোনও আলোচনা ছাড়াই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আপত্তি জানায়। বিলটির খুঁটিনাটির দিকে নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেও বিরোধীরা দাবি করে। তাদের দাবি মেনে নিয়েই বিলটিকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যা তাৎপর্যপূর্ণ।
কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সংসদে বিল পেশ ও পাশের ক্ষেত্রে তাদের মতামতের তোয়াক্কা করা হয়নি বলেই বিরোধীরা লাগাতার অভিযোগ করেছে। এমনকী চলতি অধিবেশনেও সেই ধারাই চলছে বলে ইতিমধ্যেই নির্বাচনী সংশোধনী বিল পেশ ও পাশ নিয়ে সংসদের দুই কক্ষেই সরব হয়েছেন বিরোধী সাংসদরা। সেই প্রেক্ষিতে বিয়ের বয়স সংক্রান্ত বিলটিকে সরকার সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত খানিকটা হলেও অবাক করেছে।
বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও সংখ্যার জোরে কৃষি আইন সংশোধনী বিল পাশ করার পর কৃষক আন্দোলনের জেরে কিছুদিন আগেই সরকারকে সেগুলি প্রত্যাহার করতে হয়েছে। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই কি সরকারপক্ষ তথা বিজেপির সুর নরম হয়েছে– এমন জল্পনাও শোনা যাচ্ছে। এদিকে এই বিল নিয়ে আপত্তি করায় সম্প্রতি প্রয়াগরাজের সভায় বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.