সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামীকে খুন (Murder Case) করিয়েছিলেন স্ত্রী নিজেই! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল মেঘালয়ে বেড়াতে গিয়ে খুন হওয়া ব্যক্তির স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মেঘালয়ে (Meghalaya) মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে ১১ দিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হয় রাজা রঘুবংশী নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ। সেই সময়ে তাঁর স্ত্রীর খোঁজ মেলেনি। দিনকয়েক পরে স্বামীকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল রাজার স্ত্রী সোনমকে। সেই সঙ্গে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ইন্দোরের দম্পতি নিখোঁজ হওয়ার পরে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, ডাকাতির জন্যই খুন করা হয়েছে পর্যটক যুবককে। কিন্তু তদন্তে নতুন মোড় এনে দেয় স্থানীয় এক টুর গাইডের বয়ান। শনিবার ওই টুর গাইড পুলিশকে জানান, নিখোঁজ হওয়ার দিন ওই দম্পতিকে আরও তিনজনের সঙ্গে দেখেছিলেন তিনি। পাঁচজনে মিলে তিন হাজার সিঁড়ি বেয়ে নোঙ্গরিআট থেকে মাওলাখিহাট যাচ্ছিলেন। ওই টুর গাইডের সঙ্গেই রাজা এবং সোনম নোঙ্গরিআট পর্যন্ত গিয়ে ছিলেন। কিন্তু তারপর আর গাইড নিতে চাননি মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া দম্পতি।
সূত্রের খবর, এই তথ্য জানার পরেই সোনমের খোঁজে আরও তৎপর হয় পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন সোনম। স্বামীকে খুনের অভিযোগে আপাতত গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ থেকে আরও একজন এবং ইন্দোর থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকলেই মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। আপাতত চারজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রহস্যের কিনারা করায় মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে সোনামের সঙ্গে বিয়ে হয় রাজার। ২০ মে মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে ঘুরতে যান নবদম্পতি। ২৩ মে চেরাপুঞ্জিতে পৌঁছান তাঁরা। চেরাপুঞ্জিতে পৌঁছানোর পর থেকেই দম্পতির খোঁজ মেলেনি। পরে চেরাপুঞ্জির কাছে একটি জলপ্রপাতের খাদ থেকে উদ্ধার হয় রাজার দেহ। সেখান থেকেই একটি রক্তমাখা দা এবং বর্ষাতিও মেলে। অবশেষে স্বামীকে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হল সোনমকে। ভাড়াটে খুনির মাধ্যমে তিনি রাজাকে খুন করেছেন বলেই পুলিশের অনুমান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.