সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোয়ার হাসপাতালে অন ক্যামেরা চিকিৎসককে ভর্ৎসনা ও সাসপেন্ড বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। যে জায়গায় দাঁড়িয়ে গোয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার (সিএমও) ডাঃ রুদ্রেশ কুট্টিকারেরকে ভর্ৎসনা ও সাসপেন্ড করেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বতিৎ রানে। ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইতে হবে মন্ত্রীকে। নাহলে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি বাকি চিকিৎসকদের।
গোয়া অ্যাসোসিয়শেন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস(GARD)-এর সদস্যরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালে এসে অবিলম্বে ডাঃ রুদ্রেশ কুট্টিকারের কাছে ক্ষমা না চাইলে তাঁরা ধর্মঘটে নামবেন। এদিকে ডাঃ কুট্টিকার আগেই জানিয়েছিলেন, মন্ত্রীকে জনসমক্ষে এসে ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁর কথায়, “আমাকে অপমান করার ভিডিও যে ভাবে ভাইরাল হয়েছে, তাতে আমি খুবই অপমানিত বোধ করেছি। আমি চাই মন্ত্রী হাসপাতালে এসে ক্ষমা চান। সেই ঘটনার ভিডিওটিও একইভাবে ভাইরাল হোক।” এদিকে ডাঃ রুদ্রেশ কুট্টাকারকে বরখাস্ত করা নিয়ে গোয়া মেডিক্যাল কলেজের ডিন এসএম বান্দেকর বলেন, “ডাঃ রুদ্রেশকে বরখাস্ত করার কোনও নির্দেশ নেই। তাঁকে কোনওভাবেই বরখাস্ত করা হবে না। এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এই ঘটনার ভিডিও যে বানিয়েছিল তাঁর খোঁজ চলছে।”
উল্লেখ্য, গত ৭ জুন গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক চিকিৎসক রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন ও তাঁর চিকিৎসা করেননি। এমন অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে। সঙ্গে ছিলেন সাকংবাদিকরা। হাসপাতালে পৌঁছেই সিএমও ডাঃ রুদ্রেশ কুট্টিকারেকে তলব করেন। চিকিৎসককে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করে বলেন, “আপনি আপনার ভাষা নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। যতই চাপ থাক রোগীর সঙ্গে ভদ্র আচরণ করা আপনার কর্তব্য।” এরপর ক্যামেরার সামনেই নির্দেশ দেন, ‘এখনই এনাকে সাসপেন্ড করলাম।’
এই ঘটনার পর চরম বিতর্ক তৈরি হয়। চাপের মুখে পড়ে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাও চান গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি স্বীকার করছি সেদিন আমার ব্যবহার সঠিক ছিল না। আমি তাঁকে(চিকিৎসককে) ফোন করে, কিংবা আলাদাভাবে ডেকে কথা বলতে পারতাম। আমি যদি তাঁর অনুভূতিতে আঘাত করে থাকি তবে ওই চিকিৎসক ও তাঁর পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইছি।” ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি রানে আরও বলেন, “আমি একজন রোগীর যন্ত্রণা বুঝি। আমার মা নিজে একজন ক্যানসার রোগী। তাই আমি জানি তাঁরা ঠিক কোন অবস্থার মধ্য দিয়ে যান। সেই জন্যই তাঁদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলাম। এই ঘটনায় কোনওরকম রাজনীতিকরন আমি চাই না।” যদিও এর পরেও বরফ গলেনি। আর এবার ঘটনাস্থলে এসে যদি মন্ত্রী ক্ষমা না চান তাহলে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিলেন চিকিৎসকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.