Advertisement
Advertisement
Kalyan Banerjee

দিল্লিতে মোদি-কল্যাণ সাক্ষাৎ, তৃণমূল সাংসদকে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

এদিন সাংসদদের জন্য নবনির্মিত আবাসনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ছিল।

Modi-Kalyan meeting in Delhi, what did PM say to TMC MP

দিল্লির অনুষ্ঠানে মোদির পাশে তৃণমূল সাংসদ।

Published by: Suhrid Das
  • Posted:August 11, 2025 10:10 pm
  • Updated:August 11, 2025 10:15 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হল তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দু’জনের মধ্যে সৌজন্য বিনিময়ও হয়। আজ, সোমবার দিল্লির এক অনুষ্ঠানে মোদি ও কল্যাণের সাক্ষাৎ হয়। তৃণমূল সাংসদকে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

Advertisement

রাজধানীতে বাবা খরক সিংহ মার্গে আজ, সোমবার সাংসদদের জন্য নবনির্মিত আবাসনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ছিল। এদিন ১৮৪ টি ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির মন্ত্রী-সাংসদ, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে এদিন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রীরামপুরে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অন্যান্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হয়ে স্মিত হাসেন মোদি। সব কিছু ঠিক আছে কিনা কল্যাণের থেকে খোঁজখবর নেন। প্রত্যুত্তরে কল্যাণও সব কিছু কুশল বলে জানান। জানা গিয়েছে, এদিন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর পাশে আসতে বলেছিলেন। যদিও জবাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হাসেন।

গত বছর ওয়াকফ বিল নিয়ে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বিজেপি ও তৃণমূল সাংসদদের মধ্যে তীব্র বচসা বাঁধে। কথা কাটাকাটির মধ্যে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় টেবিলে আঘাত করার সময় সামনে থাকা কাচের বোতলে হাত পড়েছিল। বোতলের কাচ ভেঙে সাংসদের তর্জনী ও বুড়ো আঙুলে চোট লাগে। সাংসদের হাতে বেশ কয়েকটি সেলাই পড়ে। এরপর সংবিধান দিবস উপলক্ষে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা হয়। তৃণমূল সাংসদের আঙুল কেমন আছে? সেই খোঁজ নিয়েছিলেন মোদি। পালটা ‘সৌজন্য’ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শরীরের খোঁজখবর নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদও। এদিনও প্রধানমন্ত্রী ও তৃণমূল সাংসদের সৌজন্য বিনিময় হল।

গত সপ্তাহে কার্যত নজিরবিহীন বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের দুই সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে অভিমানে লোকসভার মুখ্য সচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্যাণ। সেই পদত্যাগপত্র গৃহীতও হয়। সেই তরজার মধ্যে সোশাল মিডিয়া পোস্টে মহুয়াকে নিশানা করার পাশাপাশি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশেও বেশ কিছু বার্তা দিয়েছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। তবে রাখির দিন ‘দিদি’র আশীর্বাদ পেয়ে অনুতাপে কার্যত ভেঙে পড়েন কল্যাণ। সাংসদ বলেন, “মহুয়া মৈত্র আমার কাছে কোনও বিষয় নয়। এনার্জি নষ্ট করেছি। দিদিকেও (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) উলটোপালটা বলে ফেলেছি। এটা না বললেই বোধহয় ভালো হত।” এও জানান, রাখিতে ‘দিদি’ তাঁকে একবার নয়, তিনবার আশীর্বাদ করেছেন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement