সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চালু হওয়ার মাত্র এক বছরের মধ্যেই ব্যাপক দুর্নীতি মহারাষ্ট্রের লড়কি বহিন প্রকল্পে! অভিযোগ উঠেছে, মহিলাদের জন্য বরাদ্দ ভাতা পেয়েছেন ১৪ হাজারেরও বেশি পুরুষ! শুধু তাই নয়, অযোগ্য হয়েও মাসের পর মাস ভাতা পেয়েছেন অন্তত ২৬ লক্ষ। সবমিলিয়ে এই বিপুল দুর্নীতির সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে।
বাংলার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র অনুসরণে মধ্যপ্রদেশে ‘লাডলি বহেনা’ প্রকল্প এনেছিল বিজেপি। সেই মাস্টারস্ট্রোকেই মধ্যপ্রদেশে বাজিমাত করে গেরুয়া শিবির। তাই বিধানসভা ভোটের বৈতরণী পার হতে ‘লাডলি বহেনা’র মতো করে মহারাষ্ট্রে ‘মাঝি লড়কি বহিন’ প্রকল্প শুরু করে মহাজুটি। ঘোষণা হয়, ২১ থেকে ৬৫ বছরের মহিলাদের মাসে মাসে দেড় হাজার টাকা করে দেবে সরকার। গত বছর জুন মাস থেকে শুরু হয় এই প্রকল্প।
কিন্তু সম্প্রতি মহিলা এবং শিশুকল্যাণ দপ্তরের অডিটে দেখা গিয়েছে, ১৪ হাজার ২৯৮জন পুরুষ এই লড়কি বহিন প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন। সবমিলিয়ে ২১ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা পেয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আবেদনের পোর্টালে নিজেদের মহিলা বলে নথিভুক্ত করিয়েছিলেন এই ১৪ হাজারেরও বেশি ব্যক্তি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার বলেন, “দরিদ্র মহিলাদের সাহায্য করতে এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। পুরুষরা কোনও মতেই সুবিধা পাবেন না। তাঁরা যা অর্থ পেয়েছেন সেটা ফেরত দিতে হবে।”
কেবল পুরুষরা নন, বেআইনিভাবে লড়কি বহিন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন আরও ২৬ লক্ষ মহিলা। তাঁদের অনেকেই একই পরিবারের তৃতীয় মহিলা হিসাবে আবেদন করেছেন এই প্রকল্পের জন্য। একাংশ ৬৫ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এই প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন। পারিবারিক আয় বেশি থাকা মহিলারাও এই প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন। ফলে গত একবছরে মহারাষ্ট্রের কোষাগার থেকে ১ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এই ‘অযোগ্য’দের জন্য। গোটা বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিয়া বলেন, সরকার তো সামান্য ইস্যুতেই ইডি-সিবিআইকে তদন্ত করতে নামিয়ে দেয়। এই অভিযোগেরও সিবিআই তদন্ত হোক, দাবি সুপ্রিয়ার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.