Advertisement
Advertisement
Jagdeep Dhankhar Resignation

সরকারের চাপে বাধ্য হয়ে ইস্তফা! ধনকড়ের হঠাৎ পদত্যাগে প্রশ্ন তুলল বিরোধী শিবির

'সামনে যেটুকু দেখা যাচ্ছে, পর্দার আড়ালে তার চেয়ে বড় কিছু ঘটেছে', ধনকড়ের ইস্তফায় দাবি জয়রাম রমেশের।

More than meets the eye, Jairam Ramesh questions Jagdeep Dhankhar’s sudden resignation
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:July 22, 2025 8:59 am
  • Updated:August 2, 2025 9:50 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকালও সংসদে এসেছিলেন। দায়িত্ব পালন করেছিলেন যথাযথভাবে। এরপর রাতে হঠাৎ উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে জগদীপ ধনকড়ের ইস্তফা (Jagdeep Dhankhar Resignation) জাতীয় রাজনীতিতে জল্পনা বাড়িয়ে তুলেছে। উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের এই ইস্তফা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস মহাসচিব জয়রাম রমেশের সন্দেহ মোদি সরকারের চাপের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন ধনকড়। তাঁর কথায়, সামনে যেটুকু দেখা যাচ্ছে, পর্দার আড়ালে তার চেয়ে অনেক বড় কিছু ঘটে গিয়েছে।

Advertisement

এদিন এক্স হ্যান্ডেলে জয়রাম রমেশ লেখেন, রাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের এই আকস্মিক পদত্যাগ যতটা মর্মান্তিক, ততটাই অকল্পনীয়। আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম, আরও অনেক সাংসদও সেখানে ছিলেন। এরপর সন্ধ্যা ৭.৩০ টায় আমি তার সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছিলাম। নিঃসন্দেহে, জগদীপ ধনখড়ের উচিৎ নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া। তবে এটাও স্পষ্ট যে তার এই সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত পদত্যাগের পিছনে দৃশ্যমান বিষয়ের চেয়ে আরও বেশি কিছু রয়েছে। তবে, এখন জল্পনা করার সময় নয়।’

রমেশ আরও লেখেন, ‘জগদীপ ধনখড়ের কর্তব্যবোধ ও চেয়ারে থাকাকালীন নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে সরকার এবং বিরোধীকে সমান চোখে দেখতেন। তিনি গতকাল দুপুর ১টায় বাণিজ্য উপদেষ্টা কমিটির একটি সভা ডেকেছিলেন এবং বিচার বিভাগ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করতে যাচ্ছিলেন। আমরা তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনা করছি এবং তাঁকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা আশা করি দেশের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শ্রী জগদীপ ধনখড়কে তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য রাজি করাবেন। বিশেষ করে দেশের কৃষক সম্প্রদায়ের জন্য তাঁর ফেরাটা স্বস্তির হবে।’ ধনকড়ের পদত্যাগে মুখ খুলেছেন বরিষ্ঠ কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিবাল ও নীরজ ডাঙ্গি।

সোশাল মিডিয়ায় এই পদত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি লেখেন, জগদীপ ধনকড়জি নিজের স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে স্বাস্থ্যই যদি কারণ হয়, তাহলে এর আগে হৃদরোগের সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তিনি ৩-৪ দিনের মধ্যে ফের অধিবেশন কক্ষে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার হঠাৎ করে স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগ প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। আমার মনে হয় সরকারের চাপে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এটি দেশ এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য ভালো নয়। যে কোনও পদই হোক না কেন, বিজেপি সরকার এই দেশকে ইচ্ছামত পরিচালনা করতে চায়, সেটা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।

উল্লেখ্য, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সোমবার রাতে উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। রাতারাতি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠান তিনি। সেখানে লেখেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো এবং শারীরিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সংবিধানের ৬৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আমি দেশের উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। পাশাপাশি, তাঁকে সমর্থন এবং তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য তিনি রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘মেয়াদকালে প্রধানমন্ত্রীর থেকে যে সহযোগীতা পেয়েছি এবং তিনি আমাকে যেভাবে সমর্থন করে গিয়েছেন, তা আজীবন মনে রাখব।’

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ