Advertisement
Advertisement
TMC

অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় মাত্র ৪৯ আসন, ভয়ে বঙ্গে এনআরসির চেষ্টা বিজেপির! দিল্লিতে সরব তৃণমূল

তৃণমূলকে হারাতে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি, দাবি রাজ্যের শাসকদলের।

Move to bring NRC through backdoor: TMC on EC's special intensive revision
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 28, 2025 3:53 pm
  • Updated:June 28, 2025 3:53 pm  

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বাংলায় ছাব্বিশের নির্বাচনে পরাজয় অবশ্যাম্ভাবী! সেটা আন্দাজ করেই বাংলায় ঘুরপথে এনআরসির চেষ্টা করছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের নতুন ভোটার তালিকার নিয়ম নিয়ে দিল্লিতে সরব তৃণমূল কংগ্রেস।

ভোটার তালিকায় ‘স্বচ্ছতা’ আনার লক্ষ্যে সংশোধনের কাজ করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই কারণে বিভিন্ন রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে একটি ‘ডিক্লারেশন ফর্ম’। যার বেশ কিছু নিয়মাবলি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দেখানো রাস্তাতেই এবার তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে দলের অন্দরেও। শনিবার রাজধানীর কনস্টিটিউশন ক্লাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে কমিশনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলছেন, “বিজেপির সাম্প্রতিক আভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় উঠে এসেছে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তারা সর্বোচ্চ ৪৫ থেকে ৪৯টি আসন পেতে পারে। এই তথ্য উঠে আসতেই তারা মরিয়া হয়ে এসব করছে। এই সমীক্ষা কে বা কার করছে সেই সমস্ত তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দু-দিন আগেই বিজেপি যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পঞ্চাশের নিচে থাকবে সেকথা বলেছেন। আমাদের নেত্রী আগেই বলেছেন এসব ঘুরপথে এনআরসি করতে চাইছে। সঙ্গে বাংলায় ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে চাইছে।” সূত্র্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিজেপির সমীক্ষকদের বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে ধরা ও পড়েছেন।

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে দলের রাজ্যসভার উপ-দলনেতা সাগরিকা ঘোষ ও আর এক সাংসদ সাকেত গোখলেও সরব হয়েছেন। কমিশনের রিভিশনের সিদ্ধান্ত বিহার বিধানসভার আগে হলেও তাদের আসল লক্ষ্য বাংলা বলে দাবি করে সাগরিকা বলেছেন, “বাংলায় পরাজয় নিশ্চিত বুঝে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহারের অপচেষ্টা করছে। ঘুরপথে ভোটার তালিকায় বিস্তারিত তথ্য জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ভোটারের জন্ম সংশাপত্রের পাশাপাশি তার বাবা-মায়ের জন্ম সংশাপত্র দাবি করা হয়েছে। অবাস্তব চিন্তা ভাবনা, আমাদের বাবা-মায়েদের জন্মের সময়ে শংসাপত্রের ছিল কি? আবার কমিশন বিএলও, বুথ লেভেল ওয়ার্কারদের তথ্য চেয়েছে। এর পিছনে কি কারণ থাকতে পারে? আসলে বিজেপি যেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে তাদের দিয় আমাদের বুথ কর্মীদের বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো যায় সেই চেষ্টা করছে।”

এর আগে তৃণমূলের প্রতিবাদের জেরে নির্বাচন কমিশন ভুয়ো ভোটার কার্ড নিয়ে তদন্ত করার কথা জানালেও সেই কাজ এগোয়নি বলে অভিযোগ করে সরব হয়েছে সাকেত গোখলে। তিনি বলছেন, “সেই তদন্তের কাজ কতটা এগিয়েছে তা জানার জন্য জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন কমিশন সেই চিঠির জবাবে সময় দেওয়ার বদলে বাংলার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করা পরামর্শ দিয়েছে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement