সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাঁধে বইয়ের বোঝা। সঙ্গে ভবিষ্যৎ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়। কিন্তু ভবিষ্যতের পথ তো সুগম হয় না কখনও। তাই বলে, এত দুর্গম। বিদ্যে অর্জনের জন্য প্রাণ হাতে নিয়ে যেতে হবে স্কুলে? তেমনটাই করতে হচ্ছে মধ্যপ্রদেশের দামো জেলার হাট্টা এলাকার খুদেদের। পায়ে হেঁটে পেরতে হচ্ছে খরস্রোতা নদী। প্রবল স্রোতে পাথরের উপর পা দিয়ে দিয়ে এগোতে হয়। পা হড়কে গেলেই ঘটে যাবে দুর্ঘটনা। এমনকী হতে পারে মৃত্যুও। কিন্তু কী করা যাবে, নিজের ভবিষ্যতের জন্য পড়াশোনা তো করতেই হবে। তাই ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাণ হাতে নিয়েই প্রতিদিন যাচ্ছে স্কুলে।
: Students in Damoh risk their lives to cross a rivulet that comes on the way to their school in Hatta’s Madiyado.
Advertisement— ANI (@ANI)
স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক জানাচ্ছেন, “পাঁচ বছর আগে শুনেছিলাম এই নদীটির উপর বাঁধ তৈরি হবে। ৫ বছর ধরে অপেক্ষা করে চলেছি, এখনও কাজ হয়নি কিছু।” এক ছাত্রী বলে, “নদীতে ব্রিজ নেই, কোনও বিকল্প রাস্তাও নেই, আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয়।” আরেক পড়ুয়ার কথায়, “পিঠে ব্যাগ নিয়ে নদী পার হতে খুব সমস্যা হয়। আমাদের ইউনিফর্ম ভিজে যায়, কখনও ব্যাগ জলে পড়ে ভিজে যায়। আমরা নিজেরাই পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছি।” স্কুলের পথে পড়ে গিয়ে আঘাত লাগলে বা পোশাক ভিজে গেলে বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরে যেতে হয় পড়ুয়াদের। আবার কখনও কখনও উলটো বিপদ। যদি স্কুল যাওয়ার পর হঠাৎ বৃষ্টিতে নদীর জল বেড়ে যায় তাহলে স্কুলেই কাটাতে হয় রাত। বাড়ি ফেরা সম্ভব হয় না।
অভিভাবকরাও চিন্তিত। এভাবে প্রাণ হাতে নিয়ে ছেলে মেয়েরা স্কুলে যাক চান না কেউই। কিন্তু ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা তো আর বন্ধ করে দেওয়া যায় না। একজন অভিভাবক বলছেন, “আমাদের কাছে আর কোনও উপায় নেই। ওই রাস্তা দিয়েই পাঠাতে হয় স্কুলে।” শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, একটা ব্রিজ হলেই সমস্যার সমাধান হয় আপাতত। এ বিষয়ে দামোর মহকুমা শিক্ষা অধিকর্তা বিএস রাজপুত বলেন, “কন্ট্র্যাক্টরের গাফিলতির জন্যই দেরি হচ্ছে ব্রিজ তৈরিতে। জেলার পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকের কাছে শিক্ষা দপ্তরের কাছে এ নিয়ে চিঠিও লেখা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.