সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’জন অপরাধীর নাম, বাবার নাম সবই এক। তবে দুজনের অপরাধ ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। আর এই নামের গেরোতেই জামিন পাওয়া ব্যক্তিকে থেকে যেতে হল জেলে। অন্যদিকে, জামিন না পাওয়া সত্ত্বেও মুক্ত হয়ে গেলেন অপরজন। হরিয়ানার ফরিদাবাদে নিমকা জেলের এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার জেরে জেলের পাঁচ আধিকারিককে বরখাস্ত করেছে জেল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, ফরিদাবাদের ওই জেলে নীতেশ নামে দুই অভিযুক্ত বন্দি ছিল। এদিকে তাঁদের বাবার নামও এক। কিন্তু দু’জনের মধ্যে একজন একটি বাড়িতে ঢুকে হুজ্জতি করার দায়ে অভিযুক্ত। অপরজন এক নাবালককে ধর্ষণ করার অভিযোগে জেল খাটছিলেন। এদের মধ্যে বাড়িতে ঢুকে হুজ্জতি করা ব্যক্তি জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু নাম ও বাবার নাম এক হয়ে যাওয়ায় জেলের আধিকারিকরা ধর্ষণে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেন। এই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিতর্কের মুখে পড়ে জেল কর্তৃপক্ষের সাফাই, অভিযুক্ত ধরার জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে। দ্রুত পাকড়াও করা হবে।
জেল সূত্রে খবর, ২৭ বছর বয়সি নিতেশ পাণ্ডেকে ২০২১ সালে গেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ৯ বছরের এক নাবালককে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে ২৪ বছর বয়সি আরও এক নীতেশকে রবিবার জেলে পাঠানো হয়। তাঁর অপরাধ ছিল একটি বাড়িতে ঢুকে হুজ্জতি দিয়েছিলেন। কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি জামিন পেয়ে যান। কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি জামিন পেয়ে যান। কিন্তু তাঁকে মুক্তি দেওয়ার বদলে ধর্ষণে অভিযুক্তকে মুক্ত করে দেয় জেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে এই ঘটনার পর পাঁচ আধিকারিককে বরখাস্ত করেও নিজেদের দোষ ঢাকতে মরিয়া জেল কর্তৃপক্ষ। জেলের ডেপুটি সুপারেনডেন্ট বিক্রম সিং বলেন, “নিজের পরিচয় লুকিয়ে পালিয়েছে নীতেশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.