Advertisement
Advertisement
Narendra Modi

ফের কাছাকাছি দিল্লি-ওয়াশিংটন? মোদি-ট্রাম্পের সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত এবার বিদেশ মন্ত্রকের!

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরই জয়শঙ্করের মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

PM Narendra Modi reciprocate trump sentiment confirmed Jaishankar

ফাইল ছবি

Published by: Anustup Roy Barman
  • Posted:September 7, 2025 10:51 am
  • Updated:September 7, 2025 12:34 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-মার্কিন সম্পর্কের টানাপড়েন গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চর্চায়। নেপথ্যে ‘শুল্কযুদ্ধ’! তবে ফের যেন কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। গত দুই দিনে দুই রাষ্ট্রনায়কের বক্তব্যে সেই ইঙ্গিতই মিলেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্যে সেই ইঙ্গিতেই সিলমোহর পড়ল।

Advertisement

শুক্রবার নিজের সোশাল মিডিয়া ট্রুথ সোশালের এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘মনে হচ্ছে রাশিয়া ও ভারতকে অন্ধকার চিনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি।’ কিন্তু একদিন যেতে না যেতেই নিজের অবস্থান থেকে একেবারে উলটো দিকে চলে যান তিনি। নিজের বক্তব্য থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন “মোদি এখনও আমার বন্ধুই। কিন্তু আমি হতাশ।” আর তারপরেই তাঁর বক্তব্যে সাড়া দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানান তিনি ট্রাম্পের আবেগের সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন।

এরপরই, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর বার্তা আরও জোরদার করে বলেন, ”মোদি আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সমীকরণ সবসময়েই খুব ভালো।” যদিও এর বাইরে আর কিছুই বলতে চাননি তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরেই জয়শঙ্করের এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

 এদিকে এএনআই-এর প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “আমার মনে হয় না আমরা ভারতকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি খুব হতাশ কারণ রাশিয়ার থেকে তেল কিনছে ভারত। আমি তাদেরকে এটা জানিয়েছি। ভারতের উপরে আমরা ৫০ শতাংশ চড়া শুল্ক চাপিয়েছি। এটা খুব বড় শুল্ক।”

এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী মোদি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুভূতি এবং আমাদের সম্পর্কের ইতিবাচক মূল্যায়নকে গভীরভাবে উপলব্ধি করছি এবং সম্পূর্ণরূপে সহমত। ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে এক অত্যন্ত ইতিবাচক এবং ভবিষ্যৎমুখী বিস্তৃত এবং বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে।’ প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ‘শুল্কযুদ্ধ’কে অতীত করে বরফ গলবে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের? আপাতত এই নিয়েই চর্চা সংশ্লিষ্ট মহলে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement