ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ ও সবকা বিশ্বাস’। ঠিক এই অস্ত্রকে হাতিয়ার করে ১১টা বছর পার করে ফেলল মোদি সরকার। এই দীর্ঘ সময়ে বিরোধী শিবির ব্যর্থতার ‘ঢঙ্কা’ বাজালেও সে সবকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার সোশাল মিডিয়ায় নিজের ১১ বছরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন তিনি। জানালেন, গরিবের কল্যাণ করাই তাঁর সরকারের মূল লক্ষ্য। এতদিন ধরে সেই কাজই করে এসেছে তাঁর সরকার।
এদিন এক্স হ্যান্ডেলে নিজেদের ‘বিকাশ যাত্রা’র একের পর এক খতিয়ান তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লেখেন, ‘গত ১১ বছরে আমাদের সরকারের সকল প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল আমাদের গরিব ভাই-বোনেদের জীবনের সার্বিক উন্নতি ঘটানো। উজ্জ্বলা হোক বা পিএম আবাস, আয়ুষ্মান ভারত হোক ভারতীয় জনৌষধী বা পিএম কিষাণ সম্মান নিধি। এই সকল প্রকল্প দেশবাসীর হৃদয়ে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। এই দীর্ঘ সময়ে পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে আমরা মানুষের জীবন সহজ করার যথাযম্ভব চেষ্টা করেছি।’ শুধু তাই নয়, গত ১১ বছরে তাঁর সরকারের আরও একাধিক সামাজিক সচেতনতা মূলক প্রচার ও নারী কল্যাণ মূলক প্রকল্প তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। যেমন, স্বচ্ছ ভারত, জনধন যোজনা, মুদ্রা লোন, বেটি বাচাও বেটি পড়াও প্রভৃতি। পাশাপাশি মহাকাশ বিজ্ঞান, শিক্ষা পরিকাঠামোগত উন্নতি, শিক্ষা, খেলাধুলা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন।
নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন বিজেপি সভাপতি তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, ১১ বছর আগে দেশে তোষণের রাজনীতি ছিল যা বদলে এখন দায়িত্ববোধ ও রিপোর্ট কার্ডের রাজনীতি শুরু হয়েছে। নেতিবাচকের অতীত পেরিয়ে আমরা ইতিবাচকের পথে। বর্তমান সরকারের তিনটি নীতি তুলে ধরে নাড্ডা বলেন, আমাদের সরকারের লক্ষ্য পারফর্ম, রিফর্ম ও ট্রান্সফর্ম। তাঁর বার্তার উঠে আসে, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার, তিন তালাক তুলে দেওয়ার মতো মোদি সরকারের ঐতিহাসিক পদক্ষেপের কথা। এছাড়া, সিএএ, নোটবন্দি, মহিলাদের অগ্রাধিকার ও বাজেটের সংশোধনের মতো বিষয়গুলি তুলে ধরেন তিনি।
তবে একদিকে যখন সরকার উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরছে অন্যদিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি বিরোধী শিবির। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, মোদির ১১ বছরের শাসনকাল শুধুই ব্যর্থতা ও হতাশায় ভরা। নিজের দাবির সমর্থনে ২০২৪ সালের ভোটে বিজেপি ইস্তাহারের ১৫টি প্রতিশ্রুতি ও এক বছর পর সেগুলির রূপায়নে ব্যর্থতার তথ্য তুলে ধরেন তিনি। লিখিত বিবৃতিতে ডেরেক জানান, মধ্যবিত্ত শ্রেণির সমস্যার সুরাহার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। তবে ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে গৃহস্থালির ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। অন্যদিকে, আর্থিক সঞ্চয় গত ৫০ বছরের সর্বনিম্ন স্তরে নেমেছে। চাকরি সংকটের জেরে ২০২১ সালের পর থেকে অনেক বেশি মানুষ কৃষিকাজে যুক্ত হতে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমানে ৪৬ শতাংশ কর্মীই কৃষিতে যুক্ত। মণিপুরে সরকারের ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরেন ডেরেক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.