মহাকুম্ভের সময় গোটা বিশ্বের নজর ছিল প্রয়াগরাদে। ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক মাস আগেই প্রয়াগরাজে শেষ হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। এরই মধ্যে পরবর্তী কুম্ভমেলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী বছরেই কুম্ভমেলা বসতে চলেছে মহারাষ্ট্রের নাসিকে। এই কুম্ভমেলা অবশ্য মহাকুম্ভ নয়, সিংহস্ত কুম্ভমেলার আসর। নাসিক ও ত্র্যম্বকেশ্বরে আয়োজিত হবে সিংহস্ত কুম্ভমেলা। ২০২৬ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে মেলা শুরু হবে। ধ্বজা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সে দিন থেকে শুরু হবে কুম্ভমেলা-২০২৬। এই প্রথম ২১ মাস ধরে চলবে কুম্ভমেলার আসর। ২৪ জুলাই ২০২৮-এ ধ্বজা নামিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার অবসান হবে।
হিন্দুধর্মে কুম্ভমেলার গুরুত্ব অপরিসীম। কুম্ভমেলার বিশেষ দিনে পুণ্যস্নান করলে পাপের ভার থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। কুম্ভমেলায় যে শুধু সারা দেশ থেকে পুণ্যার্থীর ঢল নামে তাই নয়, বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বহু মানুষ কুম্ভমেলার অবর্ণনীয় অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে আসেন। আসলে এই মেলা শুধুই যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান তা-ই নয়, একই সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের মিলন ক্ষেত্র হিসাবে পরিগণিত হয়। সিংহস্ত কুম্ভ প্রতি ১২ বছরে একবার আয়োজিত হয়। প্রথাগতভাবে কুম্ভমেলা আয়োজিত হয় প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক-ত্র্যম্বকেশ্বর ও উজ্জয়িনীতে। এর মধে্য সিংহস্ত কুম্ভমেলা বসে শুধুমাত্র নাসিক এবং উজ্জয়িনীতে। বৃহস্পতি সিংহ রাশিতে অবস্থান করলেই এই কুম্ভমেলা হয়ে থাকে। সেই কারণেই এটিকে সিংহস্ত কুম্ভ বলা হয়।
এ ছাড়া প্রতি ৬ বছরে বসে অর্ধকুম্ভের আসর। এই সিংহস্ত মেলায় নাসিকে তিনদিন অমৃত স্নান রয়েছে, অন্যদিকে ত্র্যম্বকেশ্বরেও তিনদিন। এছাড়াও বিশেষ স্নান রয়েছে পাঁচ দিনের। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়েছেন দু’হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কুম্ভের জন্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে এলাকাজুড়ে। গোদাবরী নদী পরিষ্কারের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.