সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়ডা কাণ্ডে তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে রহস্য। যে হাসপাতালে নিকিকে ভর্তি করানো হয়েছিল সেখানকার এক চিকিৎসকের দাবি, মৃত্যুর সময় তরুণী জানিয়েছিলেন, শ্বশুরবাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। একই দাবি করেছেন হাসপাতালের এক নার্সও। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার পর প্রাথমিক তদন্তের জন্য নিকির শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সেখানে তাঁরা কোনও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের প্রমাণ পাননি। তাহলে নিকি একথা কেন বললেন? এধরনের কথা বলার জন্য তাঁকে কি শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা চাপ দিয়েছিলেন? এই প্রশ্নগুলিই এখন উঠতে শুরু করেছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, গ্রেটার নয়ডার সিরসা এলাকার বাসিন্দা বিপিনের সঙ্গে ন’বছর আগে নিকির বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে যুবতীর উপর অত্যাচার চালাতেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। বাপেরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য দিনের পর দিন তাঁকে চাপ দেওয়া হত। শুধু মানসিক অত্যাচার নয়, নিকিকে বেধড়ক মারধরও করা হতো বলে অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। কিন্তু সম্প্রতি সেই অত্যাচারের মাত্রা চরমে ওঠে। অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার নিকিকে মারধরের পর তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারেন তাঁর স্বামী এবং শ্বাশুড়ি। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই সব অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে উঠে আসছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.