সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দেশজুড়ে ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ বা SIR করানো আমাদের বিশেষ অধিকার। শীর্ষ আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’ শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানানো হল নির্বাচন কমিশনের তরফে। স্পষ্ট ভাষায় কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে কমিশনকে কোনও নির্দেশ দিতে পারে না। যদি দেয় তবে সেটা কমিশনের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ।’
সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। সেখানে শীর্ষ আদালতের কাছে তিনি আবেদন জানান, ‘ভারতে যে কোনও নির্বাচনের আগে এসআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হোক। যাতে দেশের রাজনীতি ও অন্যান্য নীতি নির্ধারণের অধিকার শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের হাতে থাকে।’ তবে আদালত এমন কোনও নির্দেশ দিক তা একেবারেই চায় না দেশের নির্বাচন কমিশন। তার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে হলফনামা পেশ করে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘সংবিধানের ৩২৪ ধারা অনুযায়ী ভোটার তালিকা তৈরি করা ও তা বদল করা শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের কাজ। সেখানে অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এবং সঠিক ভোটার লিস্ট তৈরির জন্য এসআইআর একান্ত প্রয়োজনীয়।’ কমিশন আরও জানিয়েছে, ‘আমরা আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত এবং ভোটার তালিকাকে সঠিক রাখতে সর্বদা কাজ করা হয়।’
উল্লেখ্য, বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কমিশনের ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ ইস্যুতে বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। অভিযোগ উঠেছে, বিজেপির সুবিধা করে দিতে অন্যায়ভাবে নাম বাদ দিয়েছে কমিশন। এরইমাঝে কমিশনের তরফে দেশজুড়ে এসআইআর শুরুর ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সূত্রের খবর, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব রাজ্যের CEO-দের প্রস্তুতি সেরে ফেলতে বলা হয়েছে। অক্টোবরের যে কোনও দিন SIR প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
এই বিতর্কের আগেই গত ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে নির্দেশ দেয়, এসআইআরে আধারকার্ডকে পরিচয়পত্র হিসেবে গণ্য করার জন্য। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে নির্দেশ লাগুর কথা বলা হয়। যদিও আদালত এটাও জানায়, আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। ভোটার তালিকায় নাম তোলার সময় আধার নম্বর যাচাই করে নিক কমিশন। এই বিতর্কের মাঝেই এবার শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিল নির্বাচন কমিশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.