সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্নাটক কংগ্রেসের বিবাদে আপাত ইতি! উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার জানিয়ে দিলেন, এখনই মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি তাঁর চায় না। এমনকী, দলের কোনও বিধায়ক তাঁর হয়ে গলা ফাটাক সেটাও তিনি চান না। যার অর্থ, কর্নাটক নিয়ে আপাত স্বস্তি কংগ্রেসে। তবে সেই স্বস্তি কতদিন স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে দলের অন্দরেই।
২০২৩ সালে বিজেপিকে উৎখাত করে কর্নাটকে ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। এর পর থেকেই দলীয় কোন্দলে নাজেহাল অবস্থা হাত শিবিরের। মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে সিদ্দারামাইয়ার পাশাপাশি উঠে আসেন ডিকে শিবকুমার। শেষ পর্যন্ত সিদ্দারামাইয়াকে শাসনভার দেওয়া হলেও এত সহজে দ্বন্দ্ব মেটেনি। সরকারের অন্দরে সংঘাতপর্ব উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে। এর সঙ্গেই গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সামনে আসে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। বিরাট জমি দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়ায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। এই পরিস্থিতিতে সিদ্দারামাইয়ার হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে শিবকুমারের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার দাবি ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামে কংগ্রেস হাইকমান্ড।
সোমবার কংগ্রেসের দুই নেতার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন দিল্লি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। এরপর কংগ্রেস হাই কম্যান্ডের তরফে বেঙ্গালুরুতে পাঠানো হয় রণদীপ সুরজেওয়ালাকে। বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর সুরজেওয়ালা জানিয়ে দেন, “এখনই মুখ্যমন্ত্রী বদল হবে না কন্নড় রাজ্যে। এই ধরনের কোনও পরিকল্পনা দলের হাই কম্যান্ডের নেই।” এরপর শিবকুমার নিজেই মুখ খুলে যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, “কংগ্রেসে সবার আগে শৃঙ্খলা। দলীয় শৃঙ্খলা মেনে আমি আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি চাইছি না। আমার এখন একমাত্র লক্ষ্য হল ২০২৮ সালে দলকে ক্ষমতায় আনা।”
মনে করা হচ্ছে, কংগ্রেস হাই কম্যান্ডের তরফে শিবকুমারকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ২০২৮-এ তিনিই দলের মুখ হবেন। তাছাড়া এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী বদল যে সম্ভব নয় সেটাও তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস হাই কম্যান্ড মনে করছে, কর্নাটক সরকার যখন নানারকম অভিযোগে বিদ্ধ, তখন মুখ্যমন্ত্রী বদলের অর্থ, সব অভিযোগ মেনে নেওয়া। সেটা করা সম্ভব নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.