Advertisement
Advertisement
Sack Judge

লাগবে ১০০ সাংসদের স্বাক্ষর, বাদল অধিবেশনেই অভিযুক্ত বিচারপতিকে অপসারণে প্রস্তাব?

বিচারপতি অপসারণে গড়িমসি করছে কেন্দ্র, অভিযোগ বিরোধীদের একাংশের।

Now Centre To Bring Parliament Motion To Sack Judge In Cash Scam Row
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:July 9, 2025 4:55 pm
  • Updated:July 9, 2025 4:55 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন বাদল অধিবেশনে নগদকাণ্ডে অভিযুক্ত বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। বিরোধী দলগুলি এই বিষয়ে সরকারকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের (অপরসারণ প্রক্রিয়া) জন্য কমপক্ষে ১০০ জন সাংসদের স্বাক্ষর প্রয়োজন। কেন্দ্রের একটি সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যে প্রস্তাবটিতে সাংসদদের স্বাক্ষর করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অপসারণের প্রস্তাব পাশ পাওয়ার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। উল্লেখ্য, আগামী ২১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন।

Advertisement

বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে ঐক্যমত্যের জন্য অন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে পরামর্শ করছে কেন্দ্রে। অভিযুক্ত বিচারপতিকে অপসারণে প্রয়োজনীয় সমর্থন আদায়ের জন্য সরকার লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয়কক্ষের প্রধান দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। একটি সর্বভারতীয়ট সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যদি আগামী কিছু দিনের মধ্যে যদি বিচারপতি বর্মা নিজে থেকে পদত্যাগ না করেন, তা হলে জুলাইয়ের দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হওয়া বাদল অধিবেশনেই তাঁকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করবে কেন্দ্র। যদিও বিরোধীদের একাংশ দাবি করছে, বিচারপতিকে অপসারণে গড়িমসি করছে কেন্দ্র।

এদিকে যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর তদন্ত কমিটির তরফে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বিচারপতি জানিয়ে দেন তিনি ইস্তফা দেবেন না। ঘটনার পর তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্ট, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠায় কমিটি। সরকারি সূত্রের খবর, ওই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই আসন্ন বাদল অধিবেশনে বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট আনার প্রক্রিয়া শুরু করছে সরকার পক্ষ।

উল্লেখ্য, এই ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পেশ হওয়ার অর্থ হল অভিযুক্ত ওই বিচারপতির অপসারণ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত করতে হলে সংসদের উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে এই প্রস্তাব গৃহীত হতে হবে। তবে অভিযুক্ত যদি দোষী না হন সেক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না, এবং প্রস্তাবভ বাতিল হবে। আর যদি দোষী সাব্যস্ত হন সেক্ষেত্রে প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর বিচারপতিকে অপসারণের জন্য তা পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ