সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি সপ্তাহে দিল্লির সাউথ এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেসে একটি নোটিস পড়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নবরাত্রির শুরুর দিন থেকে আগামী ২ অক্টোবর অবধি আমিষ খাবার মিলবে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে। এমন নির্দেশিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। জোর করে ক্যাম্পাসে একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় আচার চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন শীক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকার বিরোধিতা করা পড়ুয়াদের বক্তব্য, এটা একজন ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ। যাঁরা কেবলমাত্র আমিষ খাবারই খেতে অভ্যস্ত তাঁদের এই নির্দেশিকার বাইরে রাখতে হবে। নোটিসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন ছাত্রদের একাংশ। তাঁদের দাবি, এটা কেবল খাবারের বিষয় নয়, আসলে একটা নির্দিষ্ট ধর্মীয় আচারকে সকলের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। ভারতের মতো বৈচিত্রময় সংস্কৃতির দেশে যা অন্যায়। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এটা তো একটা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে বিভিন্ন দেশের পড়ুয়ারা রয়েছেন। সেখানে কীভাবে কেউ এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন!
জানা গিয়েছে, এর আগে ছাত্রদের একটি সমবায় কমিটি ছিল মেসে। ওই কমিটিই খাবারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিত। গত ফেব্রুয়ারি মাসে, শিবরাত্রির সময় পড়ুয়াদের দু’টি দলের মধ্যে নিরামিষ-আমিষ দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই খাবারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যদিও এবারে নিরামিষ খাবারের নির্দেশিকা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছে না কর্তৃপক্ষ। এসএইউ-র বয়েস হস্টেলের ওয়ার্ডেন বিজয়চাঁদ চ্যাটার্জি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পিআরও-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা এই মুখ খুলছেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.