সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা গ্রাম দর্শক। সহায় সম্বলহীন মহিলার মৃতদেহ সৎকারে একাই এগিয়ে এলেন বিধায়ক। রোগে ভুগে মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। একে নিঃস্বতায় পরিবার পরিজন বলতে সাতকুলে কেউ নেই। বেঁচে থাকতেই দু’বেলার খাবার জুটত না। মৃত্যুর পরে অন্তেষ্টি হবে, এমনটাও হয়তো আশা করেননি ওই বৃদ্ধা। তবে ভুল ভেঙেছে। গোটা গ্রাম মুখ ফিরিয়ে নিলেও দায়িত্ব এড়াননি এলাকার বিধায়ক রমেশ পটুয়া। ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে নিজেই খবর খুঁড়লেন। সসম্মানে বৃদ্ধার শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। ঘটনাটি ওড়িশার ঝারসুগুড়া বিধানসভা এলাকার।
জানা গিয়েছে, ঝারসুগুড়া থেকে ভুবনেশ্বরের দূরত্ব ৩২৭ কিলোমিটার। জায়গাটি বিজু জনতা দলের বিধায়ক রমেশ পটুয়ার নির্বাচনী ক্ষেত্র। এলাকার নাম রেনাগালি। স্থানীয় বৃদ্ধার মৃত্যুতে যখন গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দাই দর্শকের চেহারা নিয়েছেন তখন মানবিকতার খাতিরে একাই এগিয়ে এলেন রমেশ পটুয়া। ভাইপো ও ছেলেকে নিয়ে গ্রামের মাঠের একপাশে কবর খুঁড়ে মৃতার সৎকারের বন্দোবস্ত করেন। বলা বাহুল্য, সমগ্র কার্যক্রম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেও সহযোগিতার জন্য কাউকেই পাওয়া যায়নি। নিজেই কোমরে তোয়ালে জড়িয়ে মাটি খুঁড়তে নেমে পড়েন। ছেলে ও ভাইপো হাতে হাতে কাজ এগিয়ে দেন। একসময় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
দলীয় বিধায়কের এহেন কাজে খুশি শাসকদলের সকলেই। তবে নিঃস্ব বৃদ্ধার দিকে কেন কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে স্থানীয় প্রশাসন। অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন ওই বৃদ্ধা। প্রতিবেশীদের ধারণা হয়েছিল কোনও ছোঁয়াচে রোগ আছে। তাঁর সৎকারে গেলে তাঁরাও আক্রান্ত হতে পারেন। একারণেই সবাই মিলেই ঠিক করেছিলেন বৃদ্ধার জন্য কিছুই করা হবে না। কেউ কেউ ব্যতিক্রমী থাকলেও শুধু একঘরে হওয়ার ভয়ে শেষকৃত্যে আসেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.