Advertisement
Advertisement
Om Prakash

নিষিদ্ধ PFI সংগঠনের সদস্য প্রাক্তন পুলিশকর্তা! ওম প্রকাশ খুনে চাঞ্চল্যকর দাবি স্ত্রী পল্লবীর

স্বামীকে খুনের আগে সোশাল মিডিয়া চ্যাটে নিজের স্বামীর সম্পর্কে এমন দাবি করেছিলেন তাঁর স্ত্রী পল্লবী।

Om Prakash was a PFI member, says Pallavi in her whatsapp message
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:April 22, 2025 11:06 am
  • Updated:April 22, 2025 11:06 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিষিদ্ধ সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বা ‘পিএফআই’ সংগঠনের সদস্য ছিলেন কর্নাটকে মৃত প্রাক্তন ডিআইজি ওম প্রকাশ! ভয়ংকর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, স্বামীকে খুনের আগে সোশাল মিডিয়া চ্যাটে নিজের স্বামীর সম্পর্কে এমন দাবি করেছিলেন তাঁর স্ত্রী পল্লবী। যদিও পুলিশের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোনও তথ্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।

Advertisement

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হোয়াটস অ্যাপে এক গ্রুপে স্বামীর সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন পল্লবী। তাঁর দাবি অনুযায়ী, তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে স্লো পয়জান করে খুনের চেষ্টা করছেন ওম প্রকাশ। বছরের পর বছর ধরে এই বিষক্রিয়ার জন্য তাঁরা দুজনেই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। সর্বক্ষণ তাঁদের উপর নজরদারি চালানো হত বলে অভিযোগ। পল্লবীর দাবি, বাড়ির রাঁধুনি ও নিরাপত্তারক্ষীদেরও ঘুষ দেওয়া হয়েছে তাঁদের বিষ প্রয়োগে হত্যার জন্য। যার জেরে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি তুলে ধরা ও এনআইএ তদন্তেরও দাবি জানান তিনি।

এর পাশাপাশি ওই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে পল্লবী লিখেছেন, “বিষয়টি শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সত্য। আমার স্বামীর এক বিরাট সাম্রাজ্য রয়েছে। তিনি পিএফআইয়ের একজন সদস্য। এই অবস্থায় আমি জানি না আমার কী করা উচিত। আমি ও আমার মেয়ে দুজনেই কষ্ট পাচ্ছি। যদি আমার মেয়ে বা আমার কিছু ঘটে তা যতই স্বাভাবিক বা দুর্ঘটনাজনক মনে হোক না কেন, তার জন্য দায়ী আমার স্বামী।” পল্লবীর এই বার্তা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কর্নাটকের প্রাক্তন পুলিশপ্রধান ওম প্রকাশের রক্তাক্ত দেহ। উদ্ধারকারী পুলিশকর্মীরা জানিয়েছিলেন, ঘরের মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, এই ঘটনার সঙ্গে পরিবারের লোকেরাই জড়িত। ঘটনার তদন্তে নেমে মৃতের স্ত্রী পল্লবী এবং ওম প্রকাশের পুত্র কার্তিকেশকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, রাতে খাওয়ার সময় প্রথমে ওম প্রকাশের চোখে প্রথমে লঙ্কার গুঁড়ো ছেটান তাঁর স্ত্রী। এরপর ছুরির কোপে খুন করা হয় তাঁকে। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাঁর পুত্র কার্তিকেশ। তিনি জানান, তাঁর মা স্কিজোফ্রেনিয়া নামের এক মানসিক অসুখে ভুগতেন। এই অসুখের কারণে সর্বদা ভয়ে ভয়ে থাকতেন তিনি। তাঁর ভ্রম ছিল, হয়ত তাঁর স্বামী তাঁকে খুন করবেন। সেই আতঙ্ক থেকেই এই খুন হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ