Advertisement
Advertisement
Operation Sindoor

নিশানায় করাচি বন্দর, ভারতীয় রণতরীর ভয়ে বন্দরবন্দি পাক নৌসেনা

অপেক্ষা ছিল শুধু ভারত সরকারের নির্দেশের।

Operation Sindoor: DGNO A.N. Pramod says Indian Navy was ready to strike Karachi port
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:May 11, 2025 9:18 pm
  • Updated:May 11, 2025 9:59 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) নাস্তানাবুদ পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযান ও পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে ভারতের নিশানায় ছিল করাচি বিমানবন্দর। নৌসেনার ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ জানালেন, ৯ মে রাতে পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দর সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে প্রস্তুত ছিল নৌসেনা। অপেক্ষা ছিল শুধু ভারত সরকারের নির্দেশের।

Advertisement

দুই দেশের সামরিক উত্তেজনার মাঝেই রবিবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে দেশের তিন সেনাবাহিনীর। সেখানেই এএন প্রমোদ বলেন, “২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলার পর অল্প সময়ের মধ্যেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে ফেলা হয় নৌসেনাকে। যুদ্ধজাহাজ, ডুবোজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয় আরব সাগরে। জঙ্গি হামলার ৯৬ ঘণ্টার মধ্যেই সামরিক মহড়ার মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত করে নেয়। করাচি বন্দর-সহ পাকভূমে টার্গেট ঠিক করে নেওয়া হয়।” শুধু তাই নয় সেনাকর্তা আরও জানান, “ভারতীয় নৌসেনা পাকিস্তানের নৌসেনাকে কার্যত বন্দরবন্দি করে। সমুদ্রে পাকিস্তানের সমস্ত গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হয় আমাদের তরফে। ভারতের ভয়ে একমুহূর্তের জন্যও বন্দর ছাড়তে পারেনি পাকিস্তান।”

এছাড়া ৭ মে কীভাবে ভারতের বিমান বাহিনী হামলা চালিয়েছিল তা ব্যাখ্যা করেন এয়ার মার্শাল একে ভারতী। তিনি বহাওয়ালপুরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের দৃশ্য তুলে ধরেন সাংবাদিক সম্মেলনে। এর পাশাপাশি মুরিদকের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা পরবর্তী দৃশ্যও প্রকাশ করা হয়। যেখানে লস্করের প্রশিক্ষণ শিবির ছিল। ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে বেশ কিছু জনবহুল গ্রাম এবং গুরুদ্বারের মতো ধর্মীয় স্থানে আঘাত হানার চেষ্টা করে। ৯-১০ মে রাতে ভারতীয় আকাশসীমায় ড্রোন এবং বিমান প্রবেশ করিয়েছিল পাকিস্তান। সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা ছিল কিন্তু বেশির ভাগই প্রতিহত করা হয়। কিছু আছড়ে পড়লেও বড় ক্ষতি হয়নি। উলটে ভারতের পালটা হামলায় পাকিস্তানি সেনার ৩৫-৪০ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে সংঘাতের আবহে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সাংবাদিক বৈঠকে এয়ার মার্শাল ভারতী জানান, চাকলালা, রফিকি-সহ পাকিস্তানের বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। এই ঘাঁটিগুলিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল ভারতের। কিন্তু নিয়ন্ত্রিত জবাব দেওয়া হয়েছে। আসলে ভারতীয় সেনার তরফে বার্তা দেওয়ার ছিল, পাকিস্তানের আগ্রাসী মনোভাবকে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এরপর শনিবার বিকেল দুপুর ৩টে ৩৫ নাগাদ পাকিস্তানের ডিজিএমও-র সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে কথা হয়। পাকিস্তানই যে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল, সেকথাও স্পষ্ট করেন ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ