সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গল্পটা অনেকটা এক রকম। কয়েকদিন আগে পাক-জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ভারতে ফিরে আসা মুম্বইয়ের বাসিন্দা হামিদ নিহাল আনসারির মতোই। ইনি মহম্মদ ইমরান কুরেশি ওয়ারসি। করাচির বাসিন্দা। প্রেমের মর্যাদা দিতে বিয়ে করতে ভারতে এসেছিলেন। তারপর গুপ্তচর সন্দেহে ভারতীয় পুলিশের হাতে ধরা পরে এক দশক জেলে কাটিয়ে শেষপর্যন্ত দেশে ফেরার নিশ্চয়তা পেয়েছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বুধবার মাতৃভূমি স্পর্শ করবেন ওয়ারসি।
[ফের উত্তপ্ত সবরীমালা, ১১ জন মহিলাকে আয়াপ্পার মন্দিরে প্রবেশে বাধা]
ওয়ারসি তখন ২৬ বছরের যুবক। যাঁকে ভালবাসেন, তাঁকে বিয়ে করতে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে এসেছিলেন। বৈধ ভিসা নিয়েই। সেটা ২০০৩ সাল। বিয়েও হয়। বিয়ের চার বছর পর দুই সন্তানের বাবা ওয়ারসিকে গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার করেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। ২০০৮ সালে ভোপালের অতিরিক্ত সেশন জজের নির্দেশে ১০ বছর জেল হয় ওয়ারসির। কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হয় গত ১৯ জানুয়ারি। ছ’বছর আগে তাঁর নাগরিকত্ব সমর্থন করে দিল্লির পাক হাইকমিশনও। কিন্তু তার পরেও মুক্তি পাননি তিনি। মার্চ মাসে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে ওয়ারসিকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। তিনি তখন থেকে ভোপালের শাহজাহানাবাদ থানায় ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার আদালতের মুক্তির নির্দেশ পৌঁছয় ভোপালের ওই থানায়। শনিবার মুক্তি পান ওয়ারসি। ২৬ ডিসেম্বর ওয়াঘা-আট্টারির ভারত-পাক সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ফিরে যাবেন তিনি। সদ্য মুক্তি পাওয়া ওয়ারসি একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি কাকার মেয়েকে ভালবেসে ফেলেছিলাম। তাই বৈধ ভিসা নিয়েই ভারতে এসেছিলাম বিয়ে করতে। ভিসার মেয়াদ ফুরোনোর সময় আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রশাসনকে বলেছিলেন, আমার পাসপোর্ট করিয়ে স্ত্রী ও পুত্র, কন্যা-সহ আমাদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেবেন। পাসপোর্টের কাগজপত্রও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেই সব নিতে ভোপালে আসতেই আমাকে গ্রেফতার করা হয়। দূর সম্পর্কের আত্মীয়রা পুলিশ লাগিয়েছিল আমার বিরুদ্ধে। তাদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে আমাদের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। অথচ আমাকে জেলে পোরা হয়েছিল পাক গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে।”
[ রাম জন্মভূমিতে যৌনকর্মীদের ভিড়! ক্ষোভ উগরে দিল গেরুয়া শিবির]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.