Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pakistan

২২৭ যাত্রী নিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিমান, তবু আকাশসীমা ব্যবহারে ‘না’ অমানবিক পাকিস্তানের

সাময়িকভাবে লাহোরে নামতে চেয়েছিল বিপর্যয়ের কবলে পড়া শ্রীনগরগামী বিমানটি।

Pakistan did not allowed India flight to enter Lahore Airport
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:May 23, 2025 11:47 am
  • Updated:May 23, 2025 11:47 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়া বিমানকেও নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিল না ‘অমানবিক’ পাকিস্তান! জানা গিয়েছে, শ্রীনগরগামী ইন্ডিগোর যে উড়ানটি বুধবার প্রবল ঝড়ের মধ্যে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল, সেটিকে পাকিস্তান তাদের আকাশে ঢোকার অনুমতি দেয়নি। তার জেরেই সমস্যা তৈরি হয়েছিল বলে বৃহস্পতিবার ইন্ডিগো বিমানসংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Advertisement

বুধবার শ্রীনগরের কাছে প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টির মধ্যে পড়ে উড়ানটি। মাঝ আকাশে তীব্র ঝঞ্ঝার মধ্যে পড়ে ২২৭ জন যাত্রীবাহী বিমান। শ্রীনগরের কাছাকাছি পৌঁছনোর পর শুরু হয় প্রবল শিলাবৃষ্টি। ভারী শিলার আঘাতে উড়ানটির নাক অর্থাৎ সামনের অংশ ভেঙে যায়। একপাশে গর্ত হয়ে যায়। তার জেরে প্রবল ঝাঁকুনি শুরু হয় বিমানের মধ্যে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। বিমানের গায়ে আছড়ে পড়তে থাকে একের পর এক শিলা। তাতে আরও বেশি করে কাঁপতে থাকে গোটা বিমানটি। ভয় ধরানো এমন বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।

কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়ে উড়ানের পাইলট পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য নিকটবর্তী লাহোর বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাক আকাশে সাময়িক ঢোকার অনুমতি চান। কিন্তু লাহোর এটিসি তাঁকে সেই অনুমতি দেয়নি। বাধ্য হয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই বিমান চালাতে বাধ্য হন পাইলট। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি নিরাপদে শ্রীনগর বিমানবন্দরে উড়ানটি নামান। কিন্তু শিলার ধাক্কায় উড়ানটির সামনের অংশ ভেঙে যায়। ঘটনার পরের দিন উড়ান সংস্থা ইন্ডিগো জানায়, লাহোরে সাময়িকভাবে নামতে না পেরেই সমস্যা অনেক বেড়েছে।

উল্লেখ্য, সেই বিমানে ছিলেন তৃণমূলের পাঁচ প্রতিনিধিও। এঁরা হলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুইয়া এবং রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, মমতাবালা ঠাকুর, নাদিমুল হক ও সাগরিকা ঘোষ। পাক গোলায় বিধ্বস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলটি কাশ্মীর গিয়েছে। এই সমস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যেই পাঁচ সদস্যের দলীয় প্রতিনিধিদলকে সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূলনেত্রী। ২১ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত এই দল শ্রীনগর, পুঞ্চ এবং রাজৌরির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবে। তারপর এই প্রতিনিধি দল ফেরত এসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট দেবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement