সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সেনার নির্দেশে জঙ্গি হামলা চালানো হয় পহেলগাঁওয়ে। ২২ এপ্রিলের মর্মান্তিক সেই হত্যাকাণ্ডে এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। যদিও এহেন রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও লস্কর ই তইবা। তবে এই হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সেনার তরফে। শুধু তাই নয়, একেবারে নিখুঁত ছকে এই জঙ্গি হামলা চালাতে বিশেষভাবে দক্ষ পাক জঙ্গিদের বেছে নেওয়া হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, আইএসআই-এর তরফে লস্কর কমান্ডার সাজিদ জাটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরে যাতে শুধুমাত্র বিদেশি জঙ্গিদের নিযুক্ত করা হয়। এই হামলার গোপনীয়তা বজায় রাখতে কোনও কাশ্মীরি জঙ্গিকে এই দলে যুক্ত করা হয়নি।
২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলার পাক জঙ্গিদোলতির নেতৃত্বে ছিল সুলেমান। তদন্তকারীদের অনুমান এই ব্যক্তি পাকিস্তানের স্পেশাল ফোর্সের প্রাক্তন কমান্ডো। ২০২২ সালে জম্মুতে অনুপ্রবেশের আগে এই জঙ্গি লস্করের ঘাঁটি মুরিদকেতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। স্যাটেলাইট ফোনের লোকেশন অনুযায়ী হামলার আগে ১৫ এপ্রিল এই সুলেমন ছিল কাশ্মীরের ত্রালে। তদন্তকারীদের অনুমান হামলার এক সপ্তাহ আগে পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় ছিল এই জঙ্গি।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৭ মে ভোর-রাতে অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অন্তত ১১টি বায়ু সেনাঘাঁটি। ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের আর্জিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.