সংসদে গ্যাস হামলা। ছবি পিটিআই
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছক ছিল আগেই। বুধবার গোটা দেশ যে উদ্বেগের দৃশ্য দেখল, সেটা হয়তো দেখা যেত আগেই। সেইমতোই পরিকল্পনা করেছিলেন সংসদে গ্যাস হামলার চার চক্রী। সব ঠিক থাকলে হয়তো বাদল অধিবেশনেই এই হামলা চালানো হত, কিন্তু তাঁরা আটকে যান একটি জায়গায়।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, সংসদের ভিতরে গ্রেপ্তার হওয়া সাগর শর্মা ও ডি মনোরঞ্জন এবং সংসদের বাইরে গ্রেপ্তার হওয়া নীলম দেবী ও অমল শিণ্ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁরা আগেই সংসদে হামলার ছক কষেছিলেন। সংসদের গত অধিবেশনে সভাকক্ষে ঢুকে হট্টগোল করার ছক কষেছিলেন তাঁরা। সেই পরিকল্পনাও চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত পাস জোগাড় করতে না পারায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। অনেক চেষ্টা করেও সেবার পাস চেষ্টা করতে পারেনি চার অভিযুক্ত।
সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের (Parliament Security Breach) ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। বুধবার টিভির পর্দায় দৃশ্যটি দেশে শিউরে ওঠে দেশবাসী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংসদরাও হতভম্ব হয়ে যান। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সংসদের ভিতরে ঢুকেছিলেন মাইসুরুর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সাগর শর্মা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মাইসুরুরই আর এক বাসিন্দা মনোরঞ্জন ডি। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা দুজনের মধ্যে একজন হরিয়ানার বাসিন্দা নীলম সিং। অপরজন মহারাষ্ট্রের অমল শিণ্ডে। ধৃতদের জেরার পাশাপাশি তাঁদের বাড়িতে গিয়েও তল্লাশি শুরু করে স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা আধিকারিকরা। সকলের বিরুদ্ধেই কড়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
২০০১ সালে সংসদে হামলার বর্ষপূর্তির দিনই এমন ঘটনায় রাতারাতি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও দ্রুতই অভিযুক্তদের আটক করেন মার্শালরা। ওই অভিযুক্তরা সংসদে প্রবেশের পাস জোগাড় করেন মাইসুরুর বিজেপি সাংসদের কাছ থেকেই। এদিকে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৮ জন নিরাপত্তা আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংসদ ভবনে ঢোকার পথেই দায়িত্বে ছিলেন ওই ৮ জন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.