সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রযুক্তিগত ত্রুটি? অন্তর্ঘাত? পাইলটের মুহূর্তের ভুল? আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে কোনও সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দিচ্ছে না কেন্দ্র। শেষ মুহূর্তের পরিস্থিতি আন্দাজ করতে দুর্ঘটনার পুনর্নির্মাণও হয়েছে। প্রশিক্ষণে সময় এয়ার ইন্ডিয়ার অন্তত তিন জন শিক্ষানবিশ পাইলট ১২ জুন এআই-১৭১ মতো পরিস্থিতি তৈরি করেন বোয়িং ৭৮৭-এ।
ট্রেনি পাইলটরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের বৈদ্যুতিক ত্রুটি অনুকরণ করেন। যে পরিস্থিতিতে এআই-১৭১-এর দুটি ইঞ্জিনই কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল, ফলস্বরূপ বিমানটি আর উপরে উঠতে সক্ষম হয়নি। যদিও পরীক্ষামূলক ভাবেও আহমেদাবাদের মতো মতো পরিস্থিতি তৈরি করা যায়নি। ককপিটের জ্বালানি সংক্রান্ত সুইচগুলিকেও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, দুর্ঘটনার মুহূর্তে ভুলবশত ওই সুইচগুলি বন্ধ করে দিয়েছিলেন কিনা পাইলট।
এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এয়ারবাস উড়ানের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ। ২০১১ সাল থেকে যাত্রা শুরুর পর এ যাবৎ এই বিমানটি কোথাও দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটল কীভাবে? নানা জনের নানা মত। কেউ কেউ বলছেন, বিমানের ইঞ্জিনে যান্ত্রিক গোলযোগ ছিল। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের ধারণা, ওড়ার পর যে কোনও কারণেই হোক, যে উচ্চতায় বিমানটি ওড়ার কথা ছিল, সেই উচ্চতায় সেটি ওঠেনি। কারও কারও ধারণা, বিমানটি পাখির সঙ্গে ধাক্কা খেতে পারে। আবার কোনও কোনও মহল থেকে এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে অন্তর্ঘাতের তত্ত্বও ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণটা কী? সেটা স্পষ্ট হবে ব্ল্যাকবক্সের তথ্য উদ্ধারের পর। তবে আপাতত বিরোধী শিবির পুরো ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চাইছে।
উল্লেখ্য, সরকারি হিসাবে আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মোট ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বহু বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। ভারতের তরফে ওই বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডিজিসিএ, এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB), ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (BCAS), এই তিন সংস্থা। মুরলীধর মোহল বলছেন, কেন দুর্ঘটনা, এখনই সেটা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.