ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাস-দাবা-পাশা, তিন সর্বনাশা। দীর্ঘদিন ধরে এই কথা ঘোরাফেরা করেছে বাঙালির মধ্যে। কিন্তু এবার তাস খেলাকে ‘ক্লিনচিট’ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মত, জুয়া না খেলে যদি কেউ স্রেফ মনের আনন্দের জন্য তাস খেলেন সেটা মোটেই লম্পটতা বা কুচরিত্রের উদাহরণ নয়।
জানা গিয়েছে, হনুমানাথারিয়াপ্পা ওয়াই সি নামে এক ব্যক্তি একটি আবাসনের সমবায় সমিতির বোর্ড অফ ডিরেক্টর নির্বাচিত হন। কিন্তু পথের ধারে তাস খেলার অভিযোগে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয় তাঁকে। নৈতিক স্খলনের অভিযোগ আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। কর্নাটক কোঅপারেটিভ সোসাইটি অ্যাক্টের আওতায় দোষী সাব্যস্ত হন হনুমানাথারিয়াপ্পা। তার জেরে সরিয়ে দেওয়া হয় পদ থেকেও। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মামলা দায়ের করেন হনুমানাথারিয়াপ্পা। কর্নাটক হাই কোর্টের রায়েও পদ ফেরত পাননি তাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
কিন্তু শীর্ষ আদালতের মতে, তাস খেলার বহু ধরণ রয়েছে। তাই তাস খেললেই সেটা অনৈতিক ঘটনা, এমনটা মেনে নেওয়া কঠিন। কেউ কেউ তাস খেলাকে স্রেফ বিনোদন হিসাবেই দেখেন। বিশেষত ভারতের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাস খেলার সঙ্গে জুয়ার যোগ থাকে না, সেটা কেবল দরিদ্র জনতার বিনোদন। যেহেতু হনুমানাথারিয়াপ্পা স্বভাবত জুয়াড়ি নন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থাগুলির আর কোনও ভিত্তি থাকে না। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং এন কোটিশ্বরের বেঞ্চের কথায়, সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন হনুমানাথারিয়াপ্পা। তাই তাঁর মতো ব্যক্তিত্বের কেউ জুয়া খেলবেন সেটা মেনে নেওয়া কষ্টকর।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে জেতেন হনুমানাথারিয়াপ্পা। তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন রঙ্গনাথ বি। ভোটে হারের পর ওই তাস খেলে শাস্তি পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে হনুমানাথারিয়াপ্পাকে আটকানোর চেষ্টা করেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে স্বস্তি পেলেন হনুমানাথারিয়াপ্পা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.