কর্মশালায় পিছনের সারিতে মোদি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি। বকলমে শাসকদল বিজেপিরও সর্বময়কর্তা। ফলে ভিভিআইপি বললেও বড় কম বলা হয় তাঁকে। এহেন নরেন্দ্র মোদি কি না দলীয় কর্মশালায় বসলেন পিছনের সারিতে! উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন উপলক্ষে দিল্লিতে দু’দিনের কর্মশালা চলছে বিজেপির। যেখানে উপস্থিত রয়েছেন বিজেপি সব সাংসদরা। রবিবার সেই বৈঠকেই দেখা গেল বেনজির দৃশ্য। সব সাংসদদের পিছনে বসে দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদি। যে ছবি রীতিমতো ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়।
রবিবার সকালে বিজেপির এই কর্মশালার শুরুতেই জিএসটি সংশোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান সাংসদরা। এরপর, সেখানে উপস্থিত সমস্ত সাংসদের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়। এই সময়েই দেখা যায়, তাঁর জন্য বরাদ্দ সামনের সারির ভিভিআইপি আসন ছেড়ে তিনি গিয়ে চসেছেন একেবারে পিছনের সারিতে। এক্স হ্যান্ডেলে সেই ছবি শেয়ার করেছেন উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের সাংসদ রবি কিষাণ। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘সাংসদদের কর্মশালায় একেবারে শেষ সারিতে বসে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এটাই বিজেপি। এখানে সবাই কর্মী।’ তাঁর সেই পোস্টের নানা ধরনের মন্তব্য সামনে এসেছে, যেখানে কেউ তাঁর প্রশংসা করেছেন তো কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে।
एनडीए सांसदों की कार्यशाला में आख़िरी पंक्ति में बैठे प्रधानमंत्री श्री नरेंद्र मोदी जी ये शक्ति है भाजपा की हर कोई कार्यकर्ता है यहाँ संगठन मैं
— Ravi Kishan (@ravikishann)
বিজয়কুমার গুপ্তা নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘এটাই নরেন্দ্র মোদি বৈশিষ্ট্য। যা তাঁকে বাকি সকলের চেয়ে আলাদা করে।’ অজিত নামে এক যুবক লিখেছেন, ‘যতদিন আপনি পদে থাকবেন ততদিন আপনাকে সম্মান করা হবে। নরেন্দ্র মোদি বুঝে গিয়েছেন তাঁর সময় ফুরিয়ে এসেছে, তাই তিনি উপযুক্ত স্থানে গিয়ে বসেছেন। এই সরকার আর বেশিদিন চলবে না।’ কেউ আবার প্রধানমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লোক দেখানো’ বলে মন্তব্য করেছেন, ‘১১ বছরে ওনাকে পিছনে বসতে দেখা যায়নি। আজ হঠাৎ ওনার এই আচরণ বুঝিয়ে দিচ্ছে সময় ওনার ফুরিয়েছে।’
জানা গিয়েছে, রবিবার বিজেপির এই দলীয় কর্মশালায় আইন প্রণয়ন দক্ষতা, শাসন কৌশল এবং রাজনৈতিক যোগাযোগের উপর আলোকপাত করা হয়। পাশাপাশি শীর্ষ নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও বিরোধীদের রুখতে দলের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। তবে তার পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও ভোটাভুটি বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় এদিন।
মাঝে আর মাত্র একটা দিন। আগামী মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। জগদীপ ধনকড়ের ছেড়ে যাওয়া আসনে কে বসবেন, তা ঠিক হয়ে যাবে ওইদিনই। লড়াইয়ে যুযুধান দু’পক্ষ – এনডিএ প্রার্থী মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ এবং বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের হয়ে লড়ছেন প্রাক্তন বিচারপতি, অন্ধ্রের ভূমিপুত্র বি সুদর্শন রেড্ডি। ইতিমধ্যে রেড্ডিকে সমর্থন জানিয়েছেন বিরোধী ৬টি দল। আর নির্বাচনের একদিন আগে দলের তরফে তাঁকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন মিম সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.