Advertisement
Advertisement
PM Modi

প্রয়োজনে পরমাণু-যুদ্ধ! পাকিস্তানের ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল’ উড়িয়ে সংসদ থেকে হুঁশিয়ারি মোদির

'নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেলিং চলবে না পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত', দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

PM Narendra Modi attacks opposition at Lok Sabha
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:July 29, 2025 6:31 pm
  • Updated:July 29, 2025 8:14 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার বিকেলে লোকসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করলেন তিনি। সরাসরি বললেন, ”সদনে ভারতের পক্ষে কথা বলার জন্য দাঁড়িয়েছি। যারা ভারতের পক্ষ দেখতে পায় না তাদের সামনে আয়না ধরতে এসেছি।” সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, পহেলগাঁও হামলার পরই তিনি সেনাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানকে কীভাবে জবাব দিতে হবে সে ব্যাপারে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিক। কখন, কোথায়, কীভাবে জবাব দেওয়া হবে তা সেনাই ঠিক করুক। ৬ ও ৭ তারিখ ভারত জবাব দিয়েছিল। পাকিস্তান কিছুই করতে পারেনি। সেই সঙ্গে মোদির সাফ কথা, পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল মানবে না ভারত। 

Advertisement

এদিন প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ”পহেলগাঁও কাণ্ডে ধর্ম জেনে জেনে জঙ্গিরা হত্যা চালিয়েছে। ভারতে দাঙ্গা করানোর অপচেষ্টা ছিল সেটা। কিন্তু  ভারত ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রের জবাব দিয়েছে। আমরা জঙ্গিদের ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছি।”  এরই পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, কোনওভাবেই পাকিস্তানের পরমাণু-হুমকি মেনে নেবে না নয়াদিল্লি। তাঁর এমন মন্তব্যে জল্পনা, তাহলে কি প্রয়োজনে পাকিস্তান পরমাণু হামলা চালালে ভারতও পালটা পারমাণবিক বোমা ছুড়বে পাকিস্তানে! এদিনে মোদির মন্তব্যের পর থেকেই এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি পরমাণু নীতি বদল করবে ভারত? উল্লেখ্য, পরমাণু হামলা হলে তবেই পরমাণু পরমাণু অস্ত্রের প্রয়োগ করা হবে, এটাই ভারতের পরমাণু রণনীতি তথা ‘নিউক্লিয়ার ডকট্রাইন’। 

অভিশপ্ত ২২ এপ্রিল তিনি বিদেশে ছিলেন বলে জানান মোদি। বলেন, ”২২ এপ্রিল বিদেশে ছিলাম। খবর পেয়েই ফিরে আসি। আমি একটি সভা ডেকেছিলাম। এবং সেই সভায় আমরা স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলাম। জানিয়ে দিয়েছিলাম সন্ত্রাসবাদের কঠোর জবাব প্রাপ্য। এবং এটি আমাদের জাতীয় সংকল্প।বদলা নিতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলাম। জানিয়ে দিয়েছিলাম, কখন, কোথায়, কীভাবে জবাব দিতে হবে তা ঠিক করতে।”

অপারেশন সিঁদুরে তিনি আত্মনির্ভর ভারতের জয় দেখছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ”জঙ্গি হামলার পরে জঙ্গিদের প্রভুরা রাতে ঘুমোতে পারেনি। ওরা জানত ভারত আসবে এবং মেরে চলে যাবে। এটাই ভারতের নিউ নরম্যাল। মেড ইন ইন্ডিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পাকিস্তানকে চূর্ণ করে দিয়েছে। পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি আইসিইউতে। সিঁদুর থেকে সিন্ধু অবধি জবাব দিয়েছি।”

পাকিস্তান ও জঙ্গিদের আক্রমণ করার পাশাপাশি মোদি এদিন বিরোধীদেরও কাঠগড়ায় তোলেন। তাঁর অভিযোগ, ”আমরা বিশ্বের সমর্থন পেয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে কংগ্রেসের থেকে পাইনি।ভারতের সামর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।” এছাড়াও তিনি বলেন, ”নিরীহদের রক্তে রাজনীতি করেছে বিরোধীরা।সেনার তথ্য নয়, ওরা পাকিস্তানের কথা প্রচার করে।”

প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলাকে সাম্প্রতিক সময়ে সব থেকে বড় ‘ইন্টেলিজেন্স ফেলিওর’ (গোয়েন্দা ব্যর্থতা) বলে এদিন তোপ দাগেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সংসদে অপরাশেন সিঁদুর নিয়ে আলোচনায় সরাসরি মোদি-শাহ আক্রমণ করেন তিনি। পাশাপাশি অখিলেশ-রাহুলের মতো নেতারাও আক্রমণ শানান। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠছিল কখন মোদিকে দেখা যাবে বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দিতে। অবশেষে বিকেল হতেই তিনি এলেন এবং স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে আক্রমণ করলেন। এদিন লোকসভায় তাঁর বক্তব্য চলাকালীন বিরোধীরা প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ