সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত ভোটার তালিকার খসড়ায় তাঁর নাম নেই বলে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন তেজস্বী যাদব। পরে জানা যায়, তাঁর দু’টি এপিক নম্বর রয়েছে। জাল ভোটার কার্ড দেখিয়ে বিস্ফোরক দাবি করার জেরে ইতিমধ্যেই তেজস্বীকে নোটিস ধরিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবার লালুপুত্রের বিরুদ্ধে দায়ের হল পুলিশি অভিযোগ।
বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে বিতর্কের আবহে শনিবার তেজস্বী দাবি করেন, খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁর নামই নেই। তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রশ্ন ওঠে, তিনি ভোটে লড়বেনই বা কী করে, আর ভোটই বা দেবেন কী করে। কমিশন অবশ্য তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তেজস্বীর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। তেজস্বী সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, তাঁর ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর আরএবি২৯১৬১২০। কিন্তু কমিশনের বক্তব্য, তেজস্বীর এপিক নম্বর আরএবি০৪৫৬২২৮। ২০৪ নম্বর বুথকেন্দ্র বিহার অ্যানিম্যাল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি বিল্ডিং, ক্রমিক নম্বর ৪১৬-তে আরেজডি নেতার নাম রয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ করার পরেই রবিবার তেজস্বীকে নোটিস পাঠায় নির্বাচন কমিশন।
এবার পুলিশি অভিযোগ দায়ের হল তেজস্বীর বিরুদ্ধে। পাটনার দিঘা থানায় বিহারের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজীব রঞ্জন নামে এক আইনজীবী। এই মর্মে তেজস্বীর বিরুদ্ধে এখনও এফআইআর দায়ের হয়নি। তবে ওই আইনজীবীর অভিযোগ, কেন দু’টি ভোটার কার্ড ব্যবহার করেন একজন জনপ্রতিনিধি? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হয়েও কেন তাঁর এমন আচরণ? ইতিমধ্যেই পুরনো ভোটার কার্ড ফেরত দিতে তেজস্বীকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তবে জল্পনা চলছে, বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই জোড়া ভোটার কার্ডের ঘটনায় কি তেজস্বীর রাজনৈতিক কেরিয়ারে বড়সড় ধাক্কা লাগবে? নিজের শক্ত ঘাঁটি রাঘোপুরেও কি নির্বিঘ্নে জিততে পারবেন তিনি?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.