ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’য়ের অভিযোগ কীসের ভিত্তিতে? আলোচনা চেয়ে রাহুল গান্ধীকে চিঠি নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু সে চিঠির কোনও উত্তর পায়নি কমিশন। শোনা যাচ্ছে, বিরোধী দলনেতার তরফে এখনও কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপারে সায় দেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন রাহুল। ২০২৪ সালের নভেম্বরে ভোটে কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ভুয়ো ভোটার তালিকা, জাল ভোট, এমনকী নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা। রাহুল অভিযোগ করেন, মোট পাঁচটি ধাপে মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে জালিয়াতি করা হয়েছে। সেগুলি হলো—নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য প্যানেল গঠন, তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢোকানো, ভোটারদের সংখ্যা বৃদ্ধি, ঠিক যেখানে বিজেপির জয় প্রয়োজন, সেখানে জাল ভোট এবং সর্বশেষ এই কর্মকাণ্ডের প্রমাণ লোপাট করা।
রাহুলের যুক্তি, ২০২৩ সালে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের মাধ্যমে যে পরিবর্তন এনেছিল, তা সন্দেহজনক। এই আইনে নির্বাচন কমিশনারদের নির্বাচনের জন্য কমিটিতে ভারতের প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়োগ করেছিল। সেই কারণেই কমিশনের পক্ষপাতিত্ব বেড়ে যায় বলে দাবি করেন তিনি। রাহুলের সেই অভিযোগের পর পালটা দেয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপি।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগকে রীতিমতো কড়া ভাষায় খণ্ডন করে নির্বাচন কমিশন। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে রাহুল গান্ধীর দাবি অস্পষ্ট এবং সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে দাবি করে তারা। এমনকী কীসের ভিত্তিতে এই অভিযোগ জানতে চেয়ে রাহুলকে চিঠিও দেওয়া হয়। সূত্রের দাবি, কমিশনের কোনও চিঠির জবাবই রাহুলের তরফে দেওয়া হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.