Advertisement
Advertisement
Jaipur

জেল থেকে পালিয়ে! পুলিশকে ঘুষ দিয়ে স্ত্রী-প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে দেখা পাঁচ কয়েদির, তারপর…

এই ঘটনায় পাঁচ পুলিশকর্মী-সহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Prisoners bribed police officers to meet their wifes and ex-girlfriends in Jaipur
Published by: Gopi Krishna Samanta
  • Posted:May 26, 2025 7:56 pm
  • Updated:May 26, 2025 7:59 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেল থেকে হাসপাতালে যাওয়ার পথে পুলিশকর্মীদের ঘুষ দিয়ে হোটেলে গেল কয়েদিরা! সেখানে দেখা করল স্ত্রী, প্রাক্তন স্ত্রী ও বেশ কয়েকজন পরিচিতর সঙ্গে। সেখানে গিয়ে দেদার হুল্লোর, খাওয়াদাওয়া সবই হল। কিন্তু এই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজস্থানের জয়পুরের সেন্ট্রাল জেলে। অস্বস্তিতে পড়ে জয়পুর জেলা প্রশাসন। তড়িঘড়ি পলাতক কয়েদি-সহ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

Advertisement

জানা গিয়েছে, রবিবার পাঁচ কয়েদিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে ছিলেন পাঁচ পুলিশকর্মী। রাস্তায় ওই পুলিশকর্মীদের ঘুষ দিয়ে হাসপাতাল যাওয়ার বদলে হোটেলে গিয়ে স্ত্রী, প্রাক্তন প্রেমিকা বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে পাঁচ কয়েদি। এমনকী সকালের জলখাবারে তারা চিঁড়ের পোলাও খায় বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে একজন কয়েদি ফিরে এলেও বাকি চারজন ফিরে না আসায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পরে হোটেল থেকে ওই চার কয়েদি-সহ আরও ন’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কয়েদিদের চার আত্মীয় এবং পাঁচ পুলিশকর্মী।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে জয়পুর জেলা প্রশাসন। পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ কয়েদিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে ছিলেন পাঁচজন কনস্টেবল। হাসপাতাল যাওয়ার পথে কয়েদিদের পরিচিতদের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে কয়েকঘণ্টার জন্য কয়েদিদের ছেড়ে দেন পুলিশকর্মীরা। কিছুক্ষণ পর একজন কয়েদি হাসপাতালে এলেও বাকি চারজন জেলে ফেরত আসেনি। এরপর বিভিন্ন হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে চারজন কয়েদিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে তাদের সঙ্গে থাকা পরিচিত চার জনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই কয়েদিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদেরও হেফাজতে নেয় পুলিশ।

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার হওয়া এক কয়েদির পরিচিতর কাছ থেকে বেশ কিছু মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, আর এক জনের কাছ থেকে নগদ ৪৫ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, জেল থেকে বসেই এই ঘটনার নীল নকশা তৈরি করা হয়েছিল। জেলেরই একজন এর মাস্টারমাইন্ড রয়েছে। সাওয়াই মান সিং থানায় এনিয়ে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিকে জয়পুর সেন্ট্রাল জেল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় জড়িত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ