সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূজার সময় এল কাছে। আর প্রতি বছরই এই সময় আকাশে মেঘ ভেসে থাকলেও মন থাকে অমল রোদ্দুরে ধোয়া। স্রেফ দু’টি শব্দ পাশাপাশি উচ্চারণে মনের ভিতরে ঢেউ তোলে- ‘পুজো আসছে’! বাংলার বাইরে যাঁরা থাকেন, তাঁরাও মায়ের আগমনের অপেক্ষায় থাকেন। পরম ভালোবাসা ও ভক্তির সম্মিলনে আয়োজন করেন দেবীর আরাধনার। যেমন পূর্ব বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পুজো।
দক্ষিণী রাজ্যের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এক বিশেষ পরিচিত নাম এই সংগঠন। তারা দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে দুর্গোৎসবের মাধ্যমে শহরের বাঙালিয়ানাকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দক্ষিণী সংস্কৃতির সঙ্গেও মেলবন্ধন করার প্রচেষ্টা করে চলেছে। বেঙ্গালুরুর অন্যতম প্রাচীন এই দুর্গাপুজো গত ২৩ বছর ধরে শুধু বাঙালিদেরই নয়, ভিন্ন সংস্কৃতি এবং ভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষেরও এক অভূতপূর্ব মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
এবার এখানকার পুজোর বিশেষ আকর্ষণ কেদারনাথ ধামের আদলে নির্মিত মণ্ডপ। কয়েক হাজার বছরের ঐতিহ্য বহন করা কেদারনাথ মন্দিরের স্থাপত্যে অনুপ্রাণিত এই মণ্ডপ দর্শনার্থীদের জন্য হয়ে উঠবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। পৌরাণিক কাহিনি, ভক্তি, ঐতিহ্য আর দক্ষিণ ভারতের কোলাহলময় লোকনৃত্য ডোল্লু কুনিথা-র মেলবন্ধনে এই বছরের আয়োজন পাচ্ছে ভিন্ন মাত্রা।
প্রতি বছরের মতো এবারও পরিবেশবান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মা দুর্গার প্রতিমা। বেঙ্গালুরুর বৃহত্তম প্রতিমাগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। পাশাপাশি ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিদিনই সকলের জন্য থাকছে ভোগ-প্রসাদ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণেও অঙ্গীকারবদ্ধ হোয়াইটফিল্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। গত বছরের মতো এবারেরও ব্যানারঘাটা বায়োলজিক্যাল পার্কের সঙ্গে যৌথভাবে থাকছে তৎক্ষণাৎ অ্যানিম্যাল অ্যাডপশনের সুযোগ। সব মিলিয়ে ২৩ বছরের এই দীর্ঘ যাত্রাপথে দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে যে একাত্মতার স্রোত বয়ে চলেছে, হোয়াইটফিল্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের এবারের আয়োজন সেটিকে আরও সমৃদ্ধ করবে নিঃসন্দেহে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.