Advertisement
Advertisement
Uttar Pradesh

তরুণীকে চাকরির টোপ দিয়েও ধর্মান্তকরণ! প্রকাশ্যে উত্তরপ্রদেশের ‘ছাঙ্গুর বাবা’র নয়া কীর্তি

'ছাঙ্গুর বাবা'র সহকারীর বিরুদ্ধেও চাকরির টোপ দেওয়ার অভিযোগ।

Promised a Job In Dubai New Charges Against Chhangur Baba of Uttar Pradesh
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:July 16, 2025 8:01 pm
  • Updated:July 16, 2025 8:05 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ‘ধর্মান্তকরণের গ্যাং’য়ের মাথা জামালউদ্দিন আলিয়াস ওরফে ‘ছাঙ্গুর বাবা’কে নিয়ে তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এবার জানা গেল, চাকরি দেওয়ার নাম করেও ধর্মান্তকরণের ফাঁদ পেতেছিলেন এই মুসলিম ধর্মগুরু। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা একটি পরিবার অভিযোগ করেছে, তাঁদের মেয়েকে দুবাইয়ে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে ভুলিয়ে ধর্মান্তকরণ করেন ‘ছাঙ্গুর বাবা’ এবং তাঁর সহকারী বদর আখতার সিদ্দিকি।

Advertisement

পরিবারটির অভিযোগ, ‘ছাঙ্গুর বাবা’র মগজধোলাইয়ের পরে ২০১৯ সালে নিখোঁজ হন ওই তরুণী। তাঁর বোন জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল সংক্রান্ত একটি কোর্স করার সময়েই সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা হয়েছিল তরুণীর। সহকারী বদর তাঁকে গাড়িতে করে ঘোরানোর নাম করে মগজধোলাই করেন। বোন বলেন, “২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে আর খোঁজ মিলছে না ওঁর। সিদিক্কির সঙ্গে দেখার করার পরদিন থেকে আচরণ বদলে গিয়েছিল। ঠাকুর-দেবতার নাম শুনলে রেগে যেত। এমনকী মা-বাবার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়।” নিখোঁজ তরুণীর পাসপোর্ট এখনও পরিবারের কাছেই রয়েছে। তাঁদের অনুমান, অবৈধ পথে বিদেশে পাঠানো হয়েছে তরুণীকে।

ছাঙ্গুরের কীর্তিকলাপ ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে। আগেই জানা গিয়েছিল, তার অর্থের উৎস ছিল মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলি। তদন্তকারীদের দাবি, এই দেশগুলি থেকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার অর্থসাহায্য পেয়েছিল সে। আর এই টাকার মধ্যেও ৩০০ কোটি টাকা এসেছিল নেপালের পথ দিয়ে। এ ভাবেই ফুলেফেঁপে উঠেছিল তার ধর্মান্তরকরণের ব্যবসা। বিদেশ থেকে আসা ওই তহবিল সামলাত তার ডানহাত নীতি ওরফে নাসরিন। তাকেও গ্রেপ্তার করেছে এটিএস। এই বিদেশি অর্থের উৎস এবং এই ধর্মান্তরকরণ গ্যাংয়ের আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খুঁজে বের করতে ছাঙ্গুর বাবা এবং নাসরিনকে জেরা করছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং এনআইএ। আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছাঙ্গুর বাবার ছেলে মেহবুব এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী জামালউদ্দিন নবীনকেও। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানতে পেরেছে, ছেলের অ্যাকাউন্ট থেকেই আর্থিক লেনদেন করত ছাঙ্গুর। তার নিজেরও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। শারজা, দুবাই-সহ বিদেশের বিভিন্ন জায়গাতেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে ছাঙ্গুরের। সেগুলিও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ