সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেওয়া হয়নি কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা। মেরামতিতেও দুর্নীতি! পুণের সেতু বিপর্যয়ের পর এরকমই ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। রবিবার দুপুরে পুণের ইন্দ্রায়নী নদীর উপর ভেঙে পড়ে সেতুটি। দুর্ঘটনায় ৪ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫১ জন। ঘটনার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।
৪৭০ ফুট লম্বা সেতুটির প্রথম অংশটি অনেকটা ঢালু। এরপর সেতুটিকে ১০০ ফুট লম্বা দুটি লোহার পাত এবং সিমেন্টের অংশ দিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিক, সেতুটির প্রস্থ মাত্র চার ফুট। সেতুটি এতটাই সরু যে একই সময়ে মাত্র একটি বাইক এবং দু’জন লোক এটির উপর দিয়ে হাঁটতে পারে। কিন্তু রবিবার সেখানে ৭ থেকে ৮টি বাইক ছিল। সেতুটি জরাজীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও এতদিন কেন সেখান বাইক চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, বেশ কয়েক বছর ধরে সেতুটির কাঠামো সংক্রান্ত কোনও অডিট করা হয়নি। এমনকী দু’বছর আগে স্থানীয়রা পূর্ত বিভাগ এবং গ্রাম পঞ্চায়েতকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেতুটির মেরামতির পাশাপাশি পর্যটকদের চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সেতু এবং তার সংলগ্ন এলাকায় কোনও রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
এসবের মাঝে আবার সেতুটিকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগও প্রকাশ্যে এসেছে। ২০২৪ সালে সে রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্র ছাভান সেতুটির মেরামতির জন্য ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দা করেছিলেন। অভিযোগ, বরাদ্দ টাকার এক পয়সাও মেরামতির কাজে ব্যবহার করা হয়নি। সব মিলিয়ে এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে যে প্রাশাসনের গাফিলতি ছিল, তা একরম স্পষ্টই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.