সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরী রথযাত্রায় ভক্তদের বিপুল সমাগম। ব্যারিকেডের মধ্যে ভক্তদের ঢুকে পড়া। ফলস্বরূপ প্রথম দিনে মাসির বাড়ি গুণ্ডিচা মন্দিরে পৌঁছতেই পারেনি বলরাম-সুভদ্রা-জগন্নাথের রথ। আজ দ্বিতীয় দিনে ফের শুরু হয়েছে রথটানা। ইতিমধ্যেই মাসি বাড়িতে পৌঁছেছে বলরামের রথ। সবার শেষে পৌঁছবে জগন্নাথের রথ নন্দীঘোষ।
শুক্রবার রথযাত্রার সূচনা। রীতি অনুসারে, সবার আগে ছিল বলরামের রথ তালধ্বজ। মাঝে সুভদ্রার রথ। সবার শেষে ছিল জগন্নাথের নন্দীঘোষ। পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি গুণ্ডিচা মন্দিরের দূরত্ব প্রায় আড়াই কিলোমিটারের আশেপাশে। ভক্তদের ব্যাপক ভিড়ের জন্য কোনও দেব-দেবীর রথ মাসির বাড়িতে পৌঁছতেই পারেনি।
প্রথমদিন বলরাম ও সুভদ্রার রথ কিছুটা এগোলেও মন্দির চত্বর থেকে বেরতেই পারেনি জগন্নাথের রথ নন্দীঘোষ। সেবায়তদের দাবি, ইতিহাসে প্রথমবার এত কম এগিয়েছে মহাপ্রভুর রথ। নিয়ম অনুসারে, সূর্য ডুবে যাওয়ার পর আর রথ টানা যায় না। সেই মতো সন্ধ্যা নেমে আসায় যাত্রা বন্ধ করতে হয়। আজ শনিবার ফের শুরু হয়েছে রথটানা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মাসির বাড়িতে পৌঁছেয়েছেন বলরাম। পিছনে রয়েছেন সুভদ্রা। সবার শেষে যাবেন জগন্নাথ। কিন্তু কেন এমনটা হল?
জানা যাচ্ছে, বিঘ্নের মূল কারণ ছিল পুরীর গ্র্যান্ড রোডের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ভগবান বলরামের রথ তালধ্বজ আটকে যাওয়া। রথকে ফের চালাতে সমস্যায় পড়তে হয় মন্দির কর্তৃপক্ষ ও পুরী প্রশাসনকে। এছাড়াও ব্যারিকেডের মধ্যে ঢুকে যান প্রচুর ভক্ত। তাতেও আটকে যায় রথের চাকা। আটকে পড়েন তিন ভাই-বোন। সূর্য নেমে যাওয়ায় বন্ধ করতে হয় যাত্রা। সারারাত মন্দিরের বাইরে, রথেই থাকেন দেব-দেবী। আজ সকালে শুরু হয়েছে যাত্রা। এই কাণ্ডের জন্য সেবায়েতরা দুষছেন পুরীর প্রশাসনকেই। ঠিকমতো ব্যবস্থা করা হয়নি বলেই এই কাণ্ড বলে দাবি তাঁদের। তবে সব সমস্যা কাটিয়ে শুরু হয়েছে পুরীর দ্বিতীয় দিনের রথযাত্রা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.