ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে জগদীপ ধনকড় ইস্তফা দিতেই জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে। কেন আচমকা এহেন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি, সেই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আচরণেই প্রবল অসন্তুষ্ট হয়েছেন ধনকড়। তারপরেই ইস্তফা দেন তিনি।
ঠিক কাদের দিকে আঙুল উঠছে ধনকড়ের ইস্তফার পর? জানা গিয়েছে, সোমবার রাজ্যসভার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠক ছিল। কিন্তু সেখানে গরহাজির ছিলেন জে পি নাড্ডা এবং কিরেন রিজিজু। যদিও নাড্ডা পরে জানান, গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কাজে ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা। বৈঠকে থাকতে না পারার কথা আগেই তাঁরা জানিয়ে দিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতিকে। উল্লেখ্য, সোমবার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির প্রথম বৈঠকটি হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। সেখানে নাড্ডা এবং রিজিজু দু’জনেই ছিলেন। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৪টেয় ফের বৈঠক হলে সেখানে হাজির হননি দুই মন্ত্রী।
কিন্তু কংগ্রেসের মতে, ধনকড়ের আচমকা ইস্তফার নেপথ্যে রয়েছে নাড্ডা-রিজিজুর এহেন আচরণ। হাত শিবিরের নেতা জয়রাম রমেশের কথায়, বিকেলে বৈঠক শুরুর আগে অপেক্ষা করা হয় দুই মন্ত্রীর জন্য। তাও তাঁরা আসেননি। দুপুর একটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে খুব গুরুতর কিছু একটা ঘটেছে, তারপরেই ইস্তফা দিয়েছেন ধনকড়। গোটা বিষয়টিতে উপরাষ্ট্রপতি ‘অপমানিত’ হয়েছেন বলেই মত রমেশের। উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই ধনকড়ের কাজে ‘কেন্দ্রবিরোধিতা’র আঁচ পেয়েছিল রাজনৈতিক মহল।
প্রথমেই আসে বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব গ্রহণ। অধিবেশনের আগের দিন সর্বদল বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে প্রথমে পদক্ষেপ করবে লোকসভা। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের ‘বিরোধিতা’ করেন ধনকড়। এই ঘটনার খানিক পরে ধনকড়ের আরেক সিদ্ধান্তে কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যায় রাজনৈতিক মহল। পহেলগাঁও হামলায় নিরাপত্তার গাফিলতি এবং ভারত-পাক যুদ্ধবিরতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা-কেন্দ্রের দুই ‘অস্বস্তি’র ইস্যু নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে অনুমতি দেন উপরাষ্ট্রপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.