সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক জনমত নিয়ে সরকার গঠন করেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট। মারাঠা ভূমে ১৪৯টি আসনে লড়াই করে ১৩২টি আসনে জিতেছে বিজেপি। যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এছাড়াও একনাথ শিণ্ডের শিব সেনা ৫৭টি এবং অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপি ৪১ আসনে জয়ী হয়। মহাযুতি জোটের এই জয়কেই এবার ‘ম্যাচ-ফিক্সিং’ বলে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে পুরোটাই কারচুপি করে জিতেছে বিজেপি। ভোটে কীভাবে জালিয়াতি করতে হয়, তা বিজেপির থেকে শেখা উচিত। আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনেও কারচুপির পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। গোরুয়া শিবিরের এই ‘ম্যাচ-ফিক্সিং’ পদ্ধতি এবার বিহারেও দেখা যাবে। শুধু তাই নয়, যেখানে যেখানে তারা হারতে পারে, সেখানেই তারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করবে।’ রাহুলের দাবি, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে কারচুপি করতে বিজেপি পাঁচ ধাপের একটি মডেল বানিয়েছিল। শুধু তাই নয়, মোদি সরকার নিজেদের সুবিধার জন্য ২০২৩ সালে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য সংশোধিত আইন এনেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
রাহুল তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘নির্বাচনে কারচুপি করার প্রথম ধাপ হল নির্বাচন কমিশন নিয়োগের প্যানেলে জালিয়াতি করা। দ্বিতীয়ত, ভোটার লিস্টে ভুয়ো ভোটার প্রবেশ করানো। তৃতীয়ত, ভোটের হার বেশি করে দেখানো। চতুর্থত, বিজেপি যেখানে জিততে চায় সেখানে বেশি করে জালিয়াতির জাল বিস্তার করা। পঞ্চমত, প্রমাণ গোপন করা।’
যদিও রাহুলের এই অভিযোগ খণ্ডন করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “রাহুলের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। কংগ্রেস যখন জেতে তখন ব্যবস্থা স্বচ্ছ কিন্তু কংগ্রেস হারলেই যড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.