ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়া প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীদের অপসারণ বিল নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করলেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতার মতে, এই বিলের মাধ্যমে গোটা দেশ মধ্যযুগে পিছিয়ে যাচ্ছ। প্রতিবাদস্বরূপ কালো রঙের টিশার্ট পরে যোগ দেন অধিবেশনে। জানান, যারা সংবিধানকে হত্যা করছে আর যারা রক্ষা করছে-দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে।
বুধবারই লোকসভায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন (সংশোধনী) বিল ২০২৫, সংবিধান (১৩০ তম সংশোধনী) বিল ২০২৫ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস (সংশোধনী) বিল ২০২৫। ওই বিলগুলি মূলত সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে আনা। গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনও মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী নিজের পদের জন্য সাংবিধানিক রক্ষাকবচ না পান, সেটাই নিশ্চিত করা হবে ওই বিলে। প্রস্তাবিত ওই বিলে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীপদে আসীন অবস্থায় কেউ যদি গুরুতর অপরাধে ৩০ দিনের বেশি জেলে থাকেন তাহলে তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হবে।
কংগ্রেস-সহ গোটা বিরোধী শিবির বিলটির বিরোধিতা করেছে। ইন্ডিয়া জোটের বক্তব্য, এটা আসলে বিরোধীদের নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, এই বিল আসলে সুপার এমার্জেন্সি লাগু করার চেষ্টা। ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে চিরতের ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর হিটলারোচিত আঘাত হানা হচ্ছে এই বিলের মাধ্যমে। এটা আসলে গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টার শামিল।
এবার বিলটিকে মধ্যযুগীয় বলে তুলোধোনা করলেন রাহুল। লোকসভায় তিনি বলেন, “আমরা আসলে মধ্যযুগে ফিরে গিয়েছি, যখন রাজা নিজে ইচ্ছামতো কাউকে সরিয়ে দিতে পারতেন। কারোওর মুখটা পছন্দ না হলে তাকে ইডি দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে দিতে পারেন। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ব্যক্তিকে ৩০ দিনের মধ্যে ছুড়ে ফেলে দিতে পারেন।” কালো টিশার্ট পরে রাহুলের মত, যারা সংবিধানকে হত্যা করছে আর যারা রক্ষা করছে-দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.