ভারতে বিদেশি হস্তক্ষেপের দাবি! রাহুল গান্ধীকে তোপ বিজেপির

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনে রাহুল গান্ধীর ভাষণ ঘিরে তুঙ্গে চাপানউতোর। বিজেপির অভিযোগ, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকা এবং ইউরোপের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন কংগ্রেসের ‘যুবরাজ’।

সম্প্রতি লন্ডনের চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্কের এক আলোচনাসভায় হাজির ছিলেন রাহুল। সেখানে তিনি বলেন, “ভারতীয় গণতন্ত্র চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।” তার কয়েকদিন আগে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাহুল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর ব্রিটেনে রাহুল বলেন, “ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন। এই বিষয়ে ইউরোপ ও আমেরিকার মতো গণতন্ত্রের রক্ষকরা উদাসীন কেন?”

This self declared Congress Prince has crossed all the limits. This man has become extremely dangerous for India’s unity. Now he’s provoking people to divide India. India’s most popular & loved Hon Prime Minister Ji’s only mantra is ‘Ek Bharat Shreshtha Bharat’.

আরও পড়ুন:

• ফের উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যয়, চামোলি জেলায় ধুয়ে গেল গ্রামের একাংশ, নিখোঁজ ১০
• বিহারের পর দিল্লিতে শুরু SIR প্রক্রিয়া! ২০০২ তালিকায় ভোটারদের নাম খোঁজার নির্দেশ কমিশনের

— Kiren Rijiju (@KirenRijiju)

এদিকে, রাহুলের (Rahul Gandhi) সেই বক্তব্যকে ‘হাতিয়ার’ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকা এবং ইউরোপের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন রাহুল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রবিশংকর প্রসাদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বিদেশে ভারতের সম্মানহানী করছেন রাহুল। এটা খুবই লজ্জাজনক।” আরও এক কদম এগিয়ে কেন্ত্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “দেশের অখণ্ডতার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছেন রাহুল।”

[আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গ বরদাস্ত নয়! নাগাল্যান্ডের রাজ্য কমিটি ভেঙে দিলেন নীতীশ, এখনও নীরব পওয়ার]

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ব্রিটেনের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে রাহুলের দাবি করেন, আরএসএস আসলে কট্টরপন্থী মৌলবাদী সংগঠন। ভারতের সব স্বশাসিত সংস্থা দখল করার চেষ্টা করছে তারা। লন্ডনের এক সংস্থায় আয়োজিত আলাপচারিতায় রাহুল বলেন, আরএসএস (RSS) একটি মৌলবাদী এবং ফ্যাসিস্ট সংগঠন। ভারতের বহু স্বশাসিত সংস্থা এই মুহূর্তে সংকটে। আরএসএস ভারতের সব সংস্থা দখল করে রেখেছে। আরএসএস অনেকটা নিষিদ্ধ সমাজের মতো। এটা ইসলামিক ব্রাদারহুডের মতো মৌলবাদী সংগঠনের আদর্শেই তৈরি। ওদের লক্ষ্য হল, আগে গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারপর পুরো গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটাই শেষ করে দেওয়া।

[আরও পড়ুন: যুদ্ধের বদলে কূটনৈতিক আলোচনা! তাইওয়ান দখলে নতুন কৌশলের পথে চিন]