সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ”বাবাকে খুন করেছে মা ও বাড়িওয়ালার ছেলে।” পুলিশকে জানাল ৮ বছরের শিশু। এই বয়ানেই জানা গেল প্রেমিকের সঙ্গে জোট বেঁধে স্বামীকে খুন করে ছাদের ড্রামে ভরে চম্পট দিয়েছে স্ত্রী। রাজস্থানের খৈরথল-তিজারা এলাকায় ঘটেছে এমনই চাঞ্চল্য়কর ঘটনা। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম হংসরাম। ইতিমধ্যেই মৃতের স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে রাজস্থান পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের বাসিন্দা হংসরাম। স্ত্রীর নাম সুনিতা। তাঁদের ৩ সন্তান রয়েছে। হংসরাম একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। বিগত প্রায় দুই মাস ধরে ছাদের ঘরে ভাড়ায় ছিল পরিবারটি। হংসরাম নেশাগ্রস্ত ছিলেন এবং প্রায়ই বাড়িওয়ালার ছেলে জিতেন্দ্রর সঙ্গে মদ্যপান করতেন। জিতেন্দ্রর স্ত্রী প্রায় ১২ বছর আগে মারা যান। তিনি সুনিতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শনিবার থেকে জিতেন্দ্র, সুনীতা ও হংসরামের তিন সন্তান উধাও ছিল বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর।
রবিবার বাড়ির ছাদে নীল ড্রাম থেকে হংসরামের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রতিবেশীরা ভয়ানক দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে ফোন করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে তদন্তে নামে। সোমবার সুনীতা ও জিতেন্দ্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হংসরামের তিন সন্তানকেও। তাঁদেরই একজন পুলিশকে জবানবন্দিতে জানিয়েছে, সে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। সুনীতা ও জিতেন্দ্র দু’জনে মিলে ওদের বাবাকে খুন করেছে। ছাদের নীল ড্রামে হংসরামের দেহ ভরে তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, দ্রুত পচন ধরানোর জন্য হংসরামের মৃতদেহে নুন মাখিয়ে দিয়েছিল সুনীতা ও তাঁর প্রেমিক জিতেন্দ্র। রাজস্থানের এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশের ‘নীল ড্রাম খুন’-এর কথা। চলতি বছরের মার্চ মাসে স্বামী সৌরভ রাজপুতকে খুন করে মুসকান রাস্তোগি ও তার প্রেমিক সাহিল শুক্লা। দেহ খণ্ডবিখণ্ড করে সিমেন্টভর্তি নীল ড্রামে ভরে রাখা হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.