সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যই পঁচাত্তরে পা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে, পঁচাত্তরে পৌঁছনোর পর এবার কি তিনিও লালকৃষ্ণ আডবানী বা মুরলী মনোহর জোশীর মতো ‘মার্গদর্শকমণ্ডলী’তে চলে যাবেন? বিজেপি অবশ্য সে জল্পনা বরাবর উড়িয়ে দিয়েছে। শনিবার ফের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মোদির অবসর জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ঘোষণা করলেন, ২০২৯ তো বটেই ২০৩৪ এমনকী তার পরেও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী থাকবেন মোদিই।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বলছেন, “আজ বিশ্বের প্রথম সারির নেতারাও মোদির পরামর্শ দেন। আমি এর আগে আর আর কোনও প্রধানমন্ত্রীকে দেখিনি জন্মদিনে এত রাষ্ট্রনেতার শুভেচ্ছা পেতে।” রাজনাথ সিং বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা, প্রাক্তন সভাপতি, নীতি নির্ধারকদের একজন। তিনি স্পষ্ট বলে দিচ্ছেন, বিজেপির অন্দরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই।
রাজনাথের সাফ কথা, “প্রধানমন্ত্রী পদে আপাতত কোনও ভ্যাকেন্সি নেই। ২০২৯ তো বটেই ২০৩৪-সহ আর অনেক বছর বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে মোদিই থাকবেন।” এই মুহূর্তে দেশজুড়ে ভোটচুরির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছে বিরোধী শিবির। যদিও সেসবকে পাত্তা দিচ্ছেন না রাজনাথ। তাঁর সাফ কথা, এসব ভিত্তিহীন। বিরোধীদের হাতে যদি কোনও প্রমাণ থেকে থাকে তাহলে আদালতে যাওয়া উচিত।
বিজেপির অন্দরে মোদির অবসর জল্পনা অবশ্য পুরনো। এই বিতর্কের সূত্রপাত ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়। মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হলে বিজেপির অনেক প্রবীণ নেতা দলের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হন। সেই সময় থেকেই প্রচার হতে থাকে, ৭৫ বছর বয়সের পরে নেতারা সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন। যদিও বিজেপির সংবিধানে এ নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক নীতি নেই। রাজনাথ বলছেন, এতে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই। সেসময় দলের শীর্ষস্তরের নেতারাই মোদির নামে সিলমোহর দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.