প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিযোগ ছিল ধর্ষণের। সেই মামলায় অভিযুক্তকে আগাম জামিন দিল কেরল হাই কোর্ট। সেই সঙ্গেই জানিয়ে দিল, উভয়ের সম্মতিতে হওয়ার শারীরিক সম্পর্কের পর যদি সম্পর্ক ভেঙে যায়, তাহলে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায় না।
২৭ বছরের অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪(১) ধারা অর্থাৎ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন মেডিক্যালের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া তরুণী। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০২৪ সালের ৩ ও ৪ নভেম্বর কোঝিকোড়ের কাছে থামারাসেরিতে এক হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করেছিলেন অভিযুক্ত। এরপরই আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন অভিযুক্ত। তাঁর দাবি ছিল, উভয়ের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল।
অভিযোগকারিণীর বক্তব্য খতিয়ে দেখার পর আদালত জানতে পারে, ওই তরুণী স্বেচ্ছায় অভিযুক্তর সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলেন। এবং দু’টি আলাদা লজে দুই রাত কাটিয়েছিলেন। পাশাপাশি দেখা যায়, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটে নিয়মিত দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। এরপরই উচ্চ আদালত সিদ্ধান্তে আসে ধর্ষণের পক্ষে কোনও প্রমাণই মেলেনি।
বিচারপতি বেচু কুরিয়ান থমাস জানিয়ে দিয়েছেন, ”এটা ধরে নেওয়া যাচ্ছে না যে ওঁর সম্মতি ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। উভয়ের সম্মতিতে শারীরিক মিলন হওয়ার পর পরবর্তী সময়ে সম্পর্ক শুধুমাত্র তিক্ততায় পরিণত হয়েছে বলেই ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায় না। বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির দিয়ে প্রতারণার মামলাও এক্ষেত্রে হতে পারে না, কারণ অভিযোগকারী এখনও একটি বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন।” এরপরই তিনি জানিয়ে দেন, কোনও প্রেমের সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত তিক্ততায় পর্যবসিত হলে গ্রেপ্তারি ও হেফাজতে পাঠানোর মতো ‘শাস্তি’ হতে পারে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.